পাতা:পরাধীন প্রেম - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঃঃ আমি বঝেছি ব্যাপারটা। তমি আত্মীয়ের বাড়িতে থেকে পড়ছ, নিরীহ শান্ত সন্দির সবভাবের ছেলে, মােকলের একটি মায়া পড়েছিল তোমার ওপরে ! তোমায় একটি স্নেহ করেছিল । বিশ্ববাস কর, আমার মেয়ে ধারণাই করতে পারে না। সবামী ছাড়া কারো সঙ্গে ওরকম কোন খেলা কেউ করতে পারে। সবামীর সঙ্গেও কোনরকম খেলা চলে এ ধারণাও ওর নেই। ও ধরনের খেলাই সে জানে না । আরও খানিকক্ষণ প্রমোদ কথা বলেছিল । ভপেন শনে গিয়েছিল গম খেয়ে থেকে । তারপর প্রায় কাঁদ কািদ ভাবে জিজ্ঞাসা করেছিল, আমায় কি করতে বলেন ? অপদা এমন করবে। আমি ভাবতেও পারিনি। { ঃ ভাবিতে পারলে কি তুমি চুপচাপ থাকতে বাবা ? তিমি কি সেরকম ছেলে ? কি আর তোমায় করতে বলধ বল । সবই আমার অদষ্ট ! ভপেন বোধহয় দ’একদিনের মধ্যেই সব দোষ নিজের ঘাড়ে নিয়ে, কি ঘটেছিল। খোলাখালি সব জানিয়ে এবং ভাবোচাহবাসের ফেনা ফাটিয়ে আবোল তাবোল অনেক কথা গেথে অপবকে চিঠি লিখেছিল । কারণ, ৩৩ীয় দিনেই প্রমোদের কাছে পৌছেছিল মকালের শাশড়ীর চিঠি – হাতের লেখা "অপঘর । বোকা হাবা ছেলেমানষে একজনকে উস্কে দিয়ে এরকম চালাকিবাজি খাটিয়ে মেয়েকে তাদের ঘাড়ে চাপাবার চেষ্টা করে কোন লাভ হবে না প্রমোদের । তারা ঘাস খায় নাসবই তারা বোঝে । আরও কত বোকা সরল ছেলের মাথা চিবাবে মকবুল ঠিক নেই, তার চেয়ে প্রমোদ যা বলেছিল সেটা করাই ভাল-ওরকম ডাইনী মেয়েকে কচি কচি করে কেটে গঙ্গায় ভাসিয়ে দিলে ল্যাঠা চুকে যায় । ৩ারপর অনিল গিয়েছিল অপবর কাছে। কোনরকম ভামিকা না করেই সোজাসাজি বলেছিল, কেশ, আমার ডাইনী বোন আমাদের কাছেই থাকবে । তোমাকে খোরপোিশ দিতে হবে । অপবর্ণ হেসে বলেছিল, তোমার বোনের খোরপোশের ভাবনা ? একটা দোকানঘর সাজিয়ে লাগিয়ে দাও না ! দ-একটা দালাল লাগিয়ে দিলে বোনের রোজগারে Stags হঠাৎ রাগের মাথায় দিশে হারিয়ে নয়, ধীর, স্থির, শান্তভাবে, বিচার-বিবেচনা করে কত জোরে গালে চড়টা মেরেছিল জীবনে কোনদিন ভুলবে না। অনিল । কারো গালে চড় কফিয়ে যে হাতের তাল, জালা করতে পারে এটাও তার জানা छिब् न्मा । চড়ের ঘায়ে মোড়া থেকে মেঝেতে উলেট পড়েছিল অপব । ঘটে এসেছিল। সকলে, হৈ-চৈ হা-হতাশ করেছিল সোরগোল তলে কিন্তু অনিলকে কেউ কিছু বলতে সাহস পায়নি। ¢ኔዩ፡