পাতা:পরাধীন প্রেম - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কান্তা বলে, আমাদেরই বা কি কপাল! কতা ছাড়া প্রেমিক পাওয়া অসম্ভব। পরিষের "ভালবাসা মানেই দাঁড়াবে আদর সোহাগ মায়া মমতা-আব্দার আর অভিমানের মান রাখা । বিনয় বলে, তাই বটে। সোজা কথা দাঁড়াচ্ছে যে সমানে সমান ছাড়া সত্যিকারের প্রেম হয় না ! কান্তা বলে, কথাটা সোজা, কিন্ত বািকতে বােবতেই আমাদের আসল জীবন পার হয়ে যায় । তাই বা ক'জন বোঝে ? RYNS অনিল একটা চাকরি পেয়েছে। সম্প্রতি একটা বড় রকম রদবদল হয়েছে মােখাজি কোম্পানীতে । অফিস চালানোর ব্যাপারে বড় সাহেবের দক্ষিণ হসন্ত ছিল নিয়োগী নামে একজন প্রৌঢ় বয়সী লোক । অফিসে পর পর কয়েকবার গোলমাল আর হাঙ্গামা হবার পর একদিন মদের ঝোঁকে সাহেব তাকে তাড়িয়ে দেয় । সঙ্গে সঙ্গে নিয়োগী সেটা মেনে না নিলে পদটাতে অবশ্য সে-ই বহাল থাকত--- মদের ঝোঁকটা কেটে যাবার পর সাহেব তার কাছে দঃখ প্রকাশ করার ভঙ্গিতে, তার পিঠ চাপড়ে দিত । কিন্ত অফিসটা সত্যিই বড় গরম হয়ে উঠেছিল- ঘনিয়ে আসছিল বড় রকম একটা शाळनि । নিয়োগীর কায়দায় দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে তিনবার হেরে গিয়ে কমচারীরা এবার ভাল করে আট-ঘটি বেধে তোড়জোড় চালাচ্ছিল। আরেকবার হাঙ্গামা করার । কে জানে কি অবস্থা দাঁড়াবে ! নিয়োগীর ছিল অফিস চালাবার সানাম - অন্য একটা বড় অফিস বেশি মাইনেয় তাকে লফে নেবার জন্য তৈরী হয়েই ছিল। নিয়োগী সোজা সেখানে গিয়ে যোগ দেয়। তার শান্য পদটা পায় কানাই মােখাজ্যে । তার সাথে রেসের মাঠে প্রমোদ অনেক টাকা উড়িয়েছে । বন্ধত্বের দাবি তেমন না থাকলেও, ওই সম্পকের দাবিতে প্রমোদ ছেলের জন্য একটা কেরাণীর চাকরী বাগাতে পেরেছে অনেক চেশটায় । অনিলের চেষ্টায় কাতিক ওই অফিসে পেয়েছে একটা পিয়নের পদ । বিশেষ ধরাধরি অনিলকে করতে হয়নি, নতন। একজন পিয়নের প্রয়োজন জরুরী হয়ে উঠেছিল। কাম্পতা জিজ্ঞাসা করে, কাতিকের এটা কিসের পরুিকার ? فئة