পাতা:পরাধীন প্রেম - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনাটি সন্ধীর অফিসে ফোন ধরে। সেদিন ফোনটা কানে লাগাতে প্রশন এল ; ম্যাড়ক মােখাজ্যে কোম্পানী ?

  • शाँ, दळम ;

ঃ আপনাদের অফিসে কাতিক কাজ করে-কাতিক দাস ? ওকে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে বলন, ওর বেী বিষ খেয়েছে। বলবেন, দীনেশ চৌধরিী খবর দিয়েছে। কাতিকের বেী বিষ খেয়েছে, তাদের অফিসের বেয়ারা কাতিকের বেী ! কেমন অদ্ভূত আর অসঙ্গত মনে হয় কথাটা । কাতিকের বেীকে অবশ্য সান্ধীর চোখেও দাখেনি, কিন্ত, কাতিককে তো সে ফোনে ভালভাবেই-ওর মত লোকের বৌয়ের পক্ষে বিষ খাওয়াটা তার কাছে অবিশ্ববাস্য ব্যাপারের মত লাগে । কারও রসিকতা নয় তো ? কাতিককে অনিল কাজে লাগিয়েছিল। খেয়াল করে সন্ধীর তাকে গিয়ে খবরটা জানায় { অনিল এক মাহত চিন্তা করে । কমব্যস্ত অফিসের চারিদিকে একবার সে চোখ বালিয়ে নেয়। না, চিন্তা করার বা কারো সঙ্গে পরামর্শ করার সময় নেই । দচার মিনিট এদিক ওদিক হওয়ার উপরেই হয়তো কাতিকের বাড়ি ফিরে গিয়ে পাঁচীকে জ্যাম্পত অবস্থায় দেখা নিভাির করছে { কাতিককে সে ডাকে না, নিজেই তার কাছে যায়। কাতিক টািল ছেড়ে উঠে দাঁড়ায়। ঃ তোমাদের পাড়ায় দীনেশ চৌধরিী বলে কেউ থাকে ? কাতিক সায় দেওয়া মাত্র পা বাড়িয়ে অনিল বলে, আমার সঙ্গে এসো। তোমার বৌয়ের হঠাৎ কি যেন হয়েছে।--টেলিফোনে খবর পেলাম । মািখ পাংশ হয়ে যায় কাতিকের । ঃ কি হয়েছে। বাবা ? ৪ চল না দেখি গিয়ে । কাতিককে সঙ্গে নিয়ে অনিল সোজা গিয়ে খাস বড় সাহেবের দামী গাড়ীটাতে ওঠে, জোর দিয়ে হািকমের সরে ড্রাইভারকে বলে, জোরসে চালাও, সাহেবের হািকম। কোন দিকে যেতে হবে ড্রাইভারকে বলে দিয়ে অনিল জিজ্ঞাসা করে, পাঁচীর সঙ্গে ঝগড়া করেছিস ? কাতিক ভারি গলায় বলে, সকালে একচেটি হয়ে গেছে । ঃ কি নিয়ে লাগল ? ঃ কাল থেকে মেজাজ গরম ছিল, বাড়িতে বাকাবিকি করেছিল । আজ ঘােম ভেঙ্গেই বলে কিনা বাপের বাড়ি যাবে। সাহেবের হািকম ছাড়াই একজন বেয়ারাকে সঙ্গে নিয়ে এসে গাড়ী দখল করে এমন জোরের সঙ্গে জোরাসে চালাবার হািকম কোন কেরাণী দিতে পারে, এটা কল্পনা করাও সাধ্য ছিল না। ড্রাইভারের। সে জোরে গাড়ী চালিয়ে দেয়। ●●