পাতা:পরাধীন প্রেম - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিয়ের আগে তার যাওয়া চলে না ও বাড়িতে, আর কথা বলা চলে না বকলের ቖጻICጃ ! বকল এক ফাঁকে এসে তার সঙ্গে কথা বলে যেতে পারে, অন্যের কাছে অশোভন হলেও সেটা তাদের পক্ষে ক্ষতিকর নয় । অনিলের সঙ্গে দেখা হয় মাছের বাজারে । সপ্তাহে দ’তিন দিন একবেলা তারা মাছ খেত, মাসে একদিন মাংস ৷ বিকােল আসার পর মাছের পাট তলে দেওয়া হয়েছিল। আজকাল অনিল আবার মাছ কিনছে । অনিল জিজ্ঞাসা করে, তোমার নাকি সন্দি হয়েছিল ? ঃ সামান্য ব্যাপার, সেরে গেছে । মাছ খাওয়া আবার শার করছো নাকি उाछा'[०ा ? ঃ কেন খাব না ? বাকলকে আনার পর বাড়িতে মাছ আনলেই মা কান্না জড়ততাই কিছুদিন বন্ধ ছিল। একদিকে ভালই হয়েছিল--একটা খরচ বেচেছিল। চাকরিটা পেয়েছি, একটা মাছ-টাছ খাব না একবেলা ? বাকলকেও বঝিয়ে ধমক দিয়ে খাওয়াবার চেন্টা করছি।--একেবারে কথা শোনে না। কিভাবে শিকড় গেড়েই যে সংস্কার থাকে মানষের মনে ! কেবল ব্যক্তিগত খেদ প্রকাশ করছে না, অনিল সাধারণ ভাবে আপসোস প্রকাশ করছে, সকল মনের হিসাব ধরে । বাকল যখন আসল ব্যাপারে রাজী হয়েছে, এখনো ছোটখাট খাঁটিনাটি সংস্কারের জের টানার জন্য তার উপর বিরাগ জন্মায়নি আনিলের । ঃ কি বলে জানো ? খাবই তো, দ’দিন পরে খাব । তার মানে হল, বিয়েটা চুকে গেলে তারপর খাব । তখন আর বাধা থাকবে না। অনিল একটি খেদের হাসি হাসে । ঃ এখনো ওর মনে যে কি তোলপাড়াটাই চলছে ! বিয়েটাকে মানতে পেরেছে, আর কিছই মানতে পারছে না। বিনয় বলে, বিয়ের পর মনটন বিগড়ে যাবে না তো ? মানাতে না পেরে অসখী ठूद मा 65ा ? অনিল হেসে বলে, পাগল হয়েছ ? ছেলেমানষে বাঝতে পারছে না, একটা ভাবের জােবর কাটছে । আকেকটি পাকাপোন্ত মেয়ে হলে এটােকও ঘটত না । এসব কখনো থাকে ? দশদিনে এসব ভাবনা কোথায় মিলিয়ে যাবে। একটি থেমে সংশয় মেশানো বিস্ময়ের সরে অনিল জিজ্ঞাসা করে, তোমার ভাবনা হচ্ছে নাকি ? গেয়ো মেয়েকে নিয়ে ঝন ঝাটে পড়বে ভেবে ভয় হচ্ছে ? বিনয় বলে, না আনিলন্দা, ঝনঝাটের ভয় নয় । আমি ওর কথা ভাবছিলাম, খতিখতানি যদি না কাটে ! অনিল বলে, তার মানেই তো ভয় পেয়েছ। কিছু ভেবো না । ক্লামে ক্ৰমে সব ঠিক হয়ে যাবে। তমি যদি জাঁইয়ে রাখারও চেষ্টা করা তব, ওর খতিখ:তাতি কেটে যাবে। ওর মনের একটা গড়ন আছে, সেটা ভাঙ্গবারও দরকার হবে না। আমি নতন যেরকম ہم CAO