পাতা:পরাধীন প্রেম - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অতগলি টাকাও লাগত না । আজকাল কত কম খরচে কী নিখত চিকিৎসা ঠিক হয়েছে বকে ফটাে হওয়া ব্যারামের । এখন আর হাজার হাজার টাকার হিসেব কষা দরকার হয় না। এ রোগ চিকিৎসা করে। সারাতে । সাধারণ জািবর কাশি সামলাতে দেড় মাস লেগেছে মন্দাকিনীর । শরীরে যেন জোর *r का । রান্না-বাক্ষার দায়টা আবার নিয়েছে কিন্ত আগের মত একাই সব দায় সামলায় না । সমিতিকে প্ৰণতিকে ডেকে উনানে নিজের চাপানো রান্না নামানোর দায় ঘাড়ে চাপিয়ে if বলে যে ফ্যান শষে এলে ভাতের হাঁড়ি নামাতে হবে - দেখতে হবে না। ভাত গলেছে। কিনা। অত সক্ষম হিসাবে তাদের দরকার নেই । ভাত গলার হিসাবেই সে জল দিয়েছে। ভাতের হড়িতে । বলে, ডালটা হয়ে গেছে, শািন্ধ সম্পভার দিয়ে নামা । দধি রাখা হয় দেড় পোয়া । কে যে কতটক খাবে সে হিসাব রাখার দায়ও সনেীতি নিয়েছে। বাড়িতে লোক কম নয়, বাচ্চা মোটে একটা, সন্নীতির ছ'মাসের ছেলেটা। তার জন্য ছটাকখানেক দধি বরাদ্দ, বড়দের চায়ের জন্য আর এক ছটক । বাকী দন্ধটা সে বলকা তলে অনিলকে এক চুমকে পান করায় । দ’ একবার খেতে চায় নি। অনিল । সমিতি নালিশ করেছে মন্দাকিনীর কাছে । মন্দাকিনী যেন ক্ষেপে গিয়ে তছনছ করে দিয়েছিল রান্নাঘর, তার তেরঙ্গে লাগানো তালা খালে এনে রাষাঘরের শিকল অট দরজায় লাগিয়ে দিয়ে হকুমের সরে চে’চিয়ে ঘোষণা করেছিল-আজ বাড়িতে সকলের চিড়ে দিই জােটলে জাটবে।-- নইলে সকলের উপোেস । দধের বাটিটা হাতে ধরাই ছিল সমিতির, অনিল সেটা টেনে নিয়ে একচুমাকে দািধকু গিলে ফেলে । এক ঝলক দধি উথলে পড়ে যায়। দেখতে দেখতে মাছি আর পিপড়ে ভিড় করে ঢেকে ছেয়ে দেয় মেঝেতে ওতলানো দধিদুকুকে । তার অসংখটা কি না জানলেও তার শরীরের অবস্থা দেখে বোনেরা উঠে পড়ে অনিলের সেবার ভার নিয়েছে । রাগে জৰুলে ষায় অনিলের প্রাণ। তব, সে সংযত ভাবেই বলে, এই একটু দািধ খাওয়ানোর দরদ দিয়েই বশ করবি ? আমায় বাঁচিয়ে লাভটা কি " হবে বলে CISET ?

  1. আমি বাঁচবে, সেটাই আমার সেরা লাভ । ঃ কেন ? আমার বাঁচামরায় তোর কোন লাভ আছে ? তোর কাছে আমার মরা বাঁচা

সমান কথা । SOS