পাতা:পরিণীতা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

·ථිඳී পরিণীত গুরুচরণ সে কথার আর জবাব না দিয়া, নমস্কার করিয়া কাগজখানি হাতে করিয়া বাড়ী ফিরিয়া আসিলেন । প্রায় প্রতি বৎসরেই ভুবনেশ্বরী এই সময়টায় কিছুদিনের জন্য পশ্চিমে ঘুরিয়া আসিতেন। তঁহার অজীর্ণ রোগ ছিল, ইহাতে উপকার হইত। রোগ বেশী নয়, নবীন গুরুচরণের কাছে সেদিন কাৰ্য্যোদ্ধারের জন্যই বাড়াইয়া বলিয়াছিলেন । যাহাই হউক, যাত্রার আয়োজন হইতেছিল। সেদিন সকালবেলা একটা চামড়ার তেরঙ্গে শেখর তাহার আবশ্যকীয় সৌখীন জিনিষপত্ৰ গুছাইয়া লইতেছিল । আন্নাকালী ঘরে ঢুকিয়া বলিল, শেখর-দা, তোমরা কাল যাবে, না ? শেখর তোরঙ্গ হইতে মুখ তুলিয়া বলিল, কালী, তোর সেজাদিকে ডেকে দে, কি সঙ্গে নেবে-টেবে, এই সময়ে দিয়ে যাক । ললিতা প্ৰতি বৎসর মায়ের সঙ্গে যাইত, এবারেও যাইবে, তাহাই a岗颈西f丐1 কালী ঘাড় নাড়িয়া বলিল, এবার সেজদি ত’ যাবে না । কেন যাবে না ? কালী কহিল, বাঃ, কি করে যাবে ? মাঘ-ফাস্তুন মাসে ওর বিয়ে হবে, বাবা বর খুজে বেড়াচ্ছেন যে । শেখর নিনিমেষ-চোখে স্তব্ধ হইয়া চাহিয়া রহিল। কালী বাড়ীর ভিতরে যাহা শুনিয়াছিল, উৎসাহের সহিত ফিস ফিস করিয়া বলিতে লাগিল, গিরীনবাবু বলেছেন যত টাকা লাগে ভাল পাত্তর চাই ! বাবা আজও আফিসে যাবেন না, খেয়ে-দোয়ে কোথায় ছেলে দেখতে যাবেন। গিরীনবাবুও সঙ্গে যাবেন।