পাতা:পরিণীতা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিণীতা NSSa শেখর স্থির হইয়া শুনিতে লাগিল এবং কেন যে ললিতা আর আসিতে চাহে না, তাহারও যেন কতকটা কারণ বুঝিতে পারিল। কালী বলিতে লাগিল, গিরীনবাবু খুব ভালোমানুষ শেখর-দ। মেজদির বিয়ের সময় আমাদের বাড়ী জ্যাঠামশায়ের কাছে বাধা ছিল ত-বাবা বলছিলেন, আর দু’মাস তিনমাস পরেই আমাদের সবাইকে পথে পথে ভিক্ষে করে বেড়াতে হ’ত, তাই গিরীনবাবু টাকা দিলেন। কাল সব টাকা জ্যাঠামশাইকে বাবা ফিরিয়ে দিয়েছেন । সেজদি বলছিল, আর আমাদের কোন ভয় নেই, সত্যি না শেখর-দা ? প্ৰত্যুত্তরে শেখর কিছুই বলিতে পারিল না, তেমনিই চাহিয়া। রহিল । কালী জিজ্ঞাসা করিল, কি ভাবিছ শেখর-দা ? এইবার শেখরের চমক ভাঙ্গিল, তাড়াতাড়ি বলিয়া উঠিল, কিছু না রে । কালী, তোর সেজদিকে একবার শীগগির ডেকে দে, বল उाभि उठाकछि, या छू या। কালী ছুটিয়া চলিয়া গেল। শেখর খোলা তেরঙ্গের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করিয়া বসিয়া রহিল। কোন দ্রব্যে তাহার প্রয়োজন, কোন দ্রব্যে প্রয়োজন নাই, সমস্তই এখন তাহার চোখের সম্মুখে একাকার হইয়া গেল। ডাক শুনিয়া ললিতা উপরে আসিয়া প্ৰথমে জানালার ফঁাক দিয়া দেখিল, তাহার শেখর-দা মেঝের উপরে একদৃষ্টি মাটির দিকে চাহিয়া স্থির হইয়া বসিয়া আছে। তাহার এ রকম মুখের ভাব সে পূর্বে কখনও দেখে নাই। ললিতা আশ্চৰ্য্য হইল, ভয় পাইল । ধীরে ধীরে কাছে আসিয়া দাড়াইতেই, শেখর ‘এসো’ বলিয়া ব্যস্ত হইয়া, छैठेशा पैाएछाछेल । ললিত আস্তে আস্তে জিজ্ঞাসা করিল, আমাকে ডাকছিলে ?