পাতা:পরিণীতা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাহারা যে পথ বন্ধ করিয়া প্ৰাচীর তুলিয়া দিয়াছে, ইহার অর্থ ঐ একফোটা কালী পৰ্য্যন্ত জানিয়াছে। আরও একমাস। গত হইল । একদিন ভুবনেশ্বরী কথায় কথায় বলিলেন, এর মধ্যে তুই ললিতাটাকে দেখেছিস শেখর ? 6भथद्ध बांए नाgिशा दलिल, नl, 6कन ? মা বলিলেন, প্ৰায় দুই মাস পরে কাল তাকে ছাদে পেয়ে ডাকলুম --মেয়েটা আমার যেন আর এক রকমের হয়ে গেছে। রোগা, মুখখানি শুকনো-যেন কত বয়স হয়েচে । এমনই গম্ভীর, কার সাধ্যি দেখে বলে চোদ্দ বছরের মেয়ে,-ভঁাহার চোখে জল আসিয়া পড়িল । হাত দিয়া মুছিয়া, ফেলিয়া ভারী গলায় বলিলেন, পরণের কাপড়খানি ময়লা, আঁচলের কাছে খানিকটা সেলাই-করা ; জিজ্ঞাসা করলুম, তোর কাপড় নেই মা ? বললে তা আছে, কিন্তু বিশ্বাস হয় না । কোনদিনই সে ওর মামার দেওয়া কাপড় পরে না, আমিই দিই, আমিও ত ছ’সাত মাস কিছু দিইনি। তিনি আর বলিতে পারিলেন না, আঁচল দিয়া চােখ মুছিতে লাগিলেন,-ললিতাকে যথার্থই তিনি নিজের মেয়ের মত ভালবাসিতেন । শেখর আর একদিকে চাহিয়া নিঃশব্দে বসিয়া রহিল । অনেকক্ষণ পরে তিনি পুনরায় বলিলেন, আমি ছাড়া কোনদিন সে কারো কাছে কিছু চাইতেও পারে না। অসময়ে ক্ষিদে পেলেও বাড়ীতে মুখ ফুটে বলতেও পায়ে না, সেও আমি-ঐ আমার কাছে কাছে ঘুরে বেড়াতো-আমি তার মুখ দেখলেই টের পেতুম। আমার সেই কথাই মনে হয় শেখর, হয় ত, মুখ শুকিয়ে-শুকিয়ে বেড়ায়, কেউ তাকে বোঝেও না, জিজ্ঞেসও করে না। আমাকেও তা শুধু সে মা ব’লেই ডাকে না, মায়ের মত ভালও বাসে যে।