Y NG মাস্পেরোর গ্রন্থের কথা উল্লেখ হয়। তাতে আমার কাছে উক্ত গ্রন্থের তর্জমা আছে শুনে তিনি বল্লেন যে, ওতে হবে না, অনুবাদক কিছু গোড়া কৃশ্চনি ; এজন্য যেখানে যেখানে মাসপেরোর অনুসন্ধান খ্ৰীষ্টধৰ্ম্মকে আঘাত করে, সে সব গোলমাল কোরে দেওয়া আছে। মূল ফরাসী ভাষায় গ্রন্থ পড়তে বললেন। পড়ে দেখি, তাইত— এ যে বিষম সমস্যা । ধৰ্ম্ম গোড়ামিটুকু কেমন জিনিষ জানত ?—সত্যাসত্য সব তাল পাকিয়ে যায়। সেই অবধি ওসব গবেষণাগ্রন্থের তজ্জমার উপর অনেকটা শ্রদ্ধা কমে গেছে। আর এক নূতন বিদ্যা জন্মেছে, যার নাম জাতিবিদ্যা অর্থাৎ মামুষের রঙ্গ, চুল, চেহারা, মাথার গঠন, ভাষা প্রভৃতি দেখে, শ্রেণীবদ্ধ করা। জৰ্ম্মানরা সৰ্ব্ববিদ্যায় বিশারদ হলেও সংস্কৃত আর প্রাচীন আসিরীয় বিদ্যায় বিশেষ পটু ; বর্ণস, প্রভৃতি জৰ্ম্মান পণ্ডিত ইহার নিদর্শন। ফরাসীরা প্রাচীন মিসরের তত্ত্ব উদ্ধারে বিশেষ সফল— মাস পেরো-প্রমুখ মণ্ডলী ফরাসী । ওলন্দাজের য়াহুদী ও প্রাচীন খ্ৰীষ্টধৰ্ম্মের বিশ্লেষণে বিশেষ ইংরেজ অনুবাদকের গোড়ামি জাতিবিদ্যা।
পাতা:পরিব্রাজক.djvu/১২৪
অবয়ব