হৃষীকেশ ও निकप्लेदउँौं গঙ্গার শোভা ও মাহাত্ম্য। \ა নীলাভ জল—যার মধ্যে দশ হাত গভীরের মাছের পাখনা গোনা যায়, সেই অপূর্ব সুস্বাদ হিমশীতল “গাঙ্গ্যং বারি মনোহারি”আর সেই অদ্ভুত “হর হর হর” তরঙ্গোথ ধ্বনি, সামনে গিরি নিবারের “হর হর” প্রতিধ্বনি, সেই বিপিনে বাস, মধুকরী ভিক্ষ, গঙ্গাগর্ভে ক্ষুদ্র দ্বীপাকার-শিলাখণ্ডে ভোজন, করপুটে অঞ্জলি অঞ্জলি সেই জল পান, চারিদিকে কণপ্রত্যাশী মৎস্যকুলের নির্ভয় বিচরণ ? সে গঙ্গাজলপ্রীতি, গঙ্গার মহিমা, সে গাঙ্গ্যবারির বৈরাগ্যপ্রদস্পর্শ, সে হিমালয়বাহিনী গঙ্গা, শ্রীনগর, টিহিরি, উত্তর কাশী, গঙ্গোত্রা, তোমাদের কেউ কেউ গোমুখী পর্য্যন্ত দেখেছ ; কিন্তু আমাদের কর্দমাবিলা, হরগাত্রবিঘর্ষণশুভ্রা, সহস্রপোতবক্ষা এ কলিকাতার গঙ্গায় কি এক টান আছে, তা ভোলবার নয়। সে কি স্বদেশপ্রিয়তা বা বাল্যসংস্কার – কে জানে ? হিন্দুর সঙ্গে মায়ের সঙ্গে এ কি সম্বন্ধ! — কুসংস্কার কি ? হবে । গঙ্গা গঙ্গা কোরে জন্ম কাটায়, গঙ্গাজলে মরে, দূর দূরস্তরের লোক গঙ্গাজল নিয়ে যায়, তাম্রপাত্রে যত্ন কোরে রাখে, পলিপার্বণে বিন্দু বিন্দু পান করে। রাজারাজড়ারা
পাতা:পরিব্রাজক.djvu/১৫
অবয়ব