.৩১ হতে চললো। এখন জাহাজখানি ইস্পাতের দ্যালওয়ালা কেল্লা, আর তোপগুলি যমের ছোট ভাই। এক গোলার ঘায়ে, যত বড় জাহাজই হন না, ফেটে চুটে চৌচাকুলা ! তবে এই “লুয়ার বাসর ঘর,” যা নকিন্দরের বাবা স্বপ্নেও ভাবে নি ; এবং যা, "সতোনি পৰ্ব্বতের” ওপর না দাড়িয়ে ৭০ সত্তর হাজার পাহাড়ে ঢেউয়ের মাথায় নেচে নেচে বেড়ায়, ইনিও টরপিডোর’ ভয়ে অস্থির । তিনি হচ্চেন, কতকটা চুরুটের চেহার একটা নল; তাকে তিগ করে ছেড়ে দিলে, তিনি জলের মধ্যে মাছের মত ডুবে ডুবে চলে যান। তারপর, যেখানে লাগত বার, সেখানে ধাক্ক। যেই লাগা, অমনি তার মধ্যের রাশীকৃত মহাবিস্তারশীল পদার্থ সকলের বিকট আওয়াজ ও বিস্ফারণ সঙ্গে সঙ্গে যে জাহাজের নীচে এই কীৰ্ত্তিটা হয়, তার পুনমুষিকো ভব, অর্থাৎ লৌহত্বে ও কাঠ কুঠরত্বে কতক এবং বাকীটা ধূমত্বে ও অগ্নিত্বে পরিণমন ! মনিষ্যিগুলো, যারা এই টরপিডো ফাটবার মুখে পড়ে যায়, তাদেরও যা খুঁজে পাওয়া যায়, তা প্রায় “কিমা”তে পরিণত অবস্থায় ! এই সকল জঙ্গি জাহাজ তৈয়ার হওয়া
পাতা:পরিব্রাজক.djvu/৪০
অবয়ব