এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
বিনু বললে, রুক্মিনি ওর নাম । ঐ-যে হোথায় কুয়োর ধারে সার-বাধা ঘরগুলি
ঐখানে ওর বাসা আছে, স্বামী রেলের কুলি।
তেরো-শো কোন সনে দেশে ওদের আকাল হল ; স্বামী স্ত্রী দুইজনে
পালিয়ে এল জমিদারের অত্যাচারে । সাত বিঘে ওর জমি ছিল কোন-এক গায়ে
কী-এক নদীর ধারে’— বাধা দিয়ে আমি বললেম হেসে, রুক্মিনির এই জীবন-চরিত শেষ না হতেই গাড়ি পড়বে এসে ;
আমার মতে, একটু যদি সংক্ষেপেতে সারে
অধিক ক্ষতি হবে না তায় কারো। ’ বাকিয়ে ভুরু, পাকিয়ে চক্ষু, বিমু বললে খেপে—
কখ খনে না, বলব না সংক্ষেপে । আপিস যাবার তাড়া তো নেই, ভাব না কিসের তবে ? আগাগোড়া সবটা শুনতে হবে।’ নভেল-পড়া নেশাটুকু কোথায় গেল মিশে । রেলের কুলির লম্বা কাহিনী সে
বিস্তারিত শুনে গেলেম আমি ।
আসল কথা শেষে ছিল, সেইটে কিছু দামি।
কুলির মেয়ের বিয়ে হবে, তাই
૨ 8