পাতা:পলাশির যুদ্ধ.djvu/১৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৩ } “অদৃগু হইল বামা ; পড়িল অর্গল ত্রিদিব কবাটে যেন অস্তুর-নয়নে ক্লাইবের ; গেল স্বর্গ এল ধরাতল ।” সর্গ বসানে একটি সংগীত । বীরকণ্ঠ ব্রিটিশ-সৈনিকগণ, রণ-মদমন্ততায় গৰ্জ্জিয় গর্জিয় একস্তানকণ্ঠে, ঐ সঙ্গীত গাইতে গাইতে, গঙ্গা পার হইতেছে ; আর তালে তালে, আঘাতে আঘাতে, গঙ্গার অমল জলরাশি লম্বরী নীলায় নাচিয়া উঠিতেছে। ভাগীরথী বহুদিনের পরে বীর-রসে নৃত্য করিলেন ! ! ! গীতি-কবিতা রচনায় গ্রন্থকারের কিরূপ ক্ষমতা আছে, বঙ্গীয় সাহিত্য সমাজে তাঙ্গ অনেককাল হইল পরীক্ষিত চষ্টয়াছে। আমরা তথাপি কয়েক ছত্র উদ্ধৃত করিলাম। কারণ এরূপ গীতে শুধু আমোদ নহে উপকার আছে। যেমন এক জনের গীত শুনিলে আর এক জনের গাইতে ইচ্ছা হয়, সেইরূপ এক জাতির জয়-গাথা শ্রবণ করিলে আর এক জাতির হৃদয়ও গাইবার জন্য উন্মন্ত হইয় উঠে। ইহার নাম সহানুভূতির শাসন, এবং ইহাই মহান উপকার। সিংহল বিজয়ের সময় বাঙ্গালি একবার এই গীত গাইয়াছিল। কপালগুণে এখন তাঙ্গাব কণ্ঠ নীরব'হষ্টয়াছে, অথবা এই দীপক ও ছিন্দোল-রাগে বিরাগ হওয়ায় লতার স্থায় দোদুল্যমান বিলাসিনীদিগের ললিত কণ্ঠের অনুকরণেই প্রবৃত্তি জন্মিয়াছে'। বাঙ্গালি আবার যদি কোন দিন এইরূপ গীত গাইয় জল স্থল নিনাদিত করে, তাছা হইলে সেই বঙ্গ, ভারতী বিমানে থাকিয়া আনন্দাশ্র বিসর্জন করিবেন । (द्विडीौग्न ੋਂ হইতে ৩ শ্লোক )— ইহা একটি অবধারিত কথা যে, কাব্যের প্রধান পরীক্ষাস্থল পাঠকের