পাতা:পলাশির যুদ্ধ.djvu/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ ১৪ ] হৃদয় । তার্কিকের ভাষা, সোপানের পর সোপানে আরোহণ করিয়া, বুদ্ধিকে সম্বোধন করে ; কবির কণ্ঠ-লহরী, তর্কের কুটিল পথে পরিভ্রমণ না করিয়া, একেবারে গিয়া হৃদয়ের মৰ্ম্মস্থানে স্পৃষ্ট হয়। স্বতরাংর্ধে z কাব্য যে পরিমাণে হৃদয়ের উপর কর্তৃত্ব করিতে পারে,—শ্রোতা কি পাঠকের হৃদয়নিহিত নিদ্রিত ভাব সমূহকে উদ্বোধিত করিয়া দেয়, সেই কাব্য সেই পরিমাণে কৃতার্থতা লাভ করে। আর, যে কাব্য যে পরিমাণে হৃদয়কে স্পর্শ করিতে অথরা হৃদয়ের নিকটস্থ হইতে অসমর্থ থাকে, সেই কাব্য সেই পরিমাণে অকাব্য মধ্যে পরিগণিত হয় । পোপ এবং বায়রণে ইহার উদাহরণ দেথ । পোপের লেখা পড়িবার সময় তোমার প্রথমেই এই প্রতীতি হয় যে, তুমি কোন সাবধান লোকের নিকটে বসিয়াছ । উত্তরোন্তর কথার গাথনিতে সাবধানত, ভাবের সমাবেশে সাবধানতা, এবং পদবিন্যাসেও সেই সাবধানতা ! যেন প্রত্যেক শব্দ শত পরীক্ষার পর গৃহীত হইয়াছে, এবং প্রত্যেক ভাব শতবার শোধিত হইয়া কবির হৃদয় হইতে বাহিরে আসিয়াছে। বায়রণের লেখায় এই সাধধানতার চিহ্নমাত্রও বিলোকিত হয় না। উহা নিশীথে, বংশীধ্বনির মত, অথবা বাজবিক্ষোভিত স্রোতস্বিনীর বিলাপধ্বনির মত। শ্রবণমাত্রেই চিন্তু পাগলের দ্যায় নাচিয় উঠে ! কি শুনিলাম, কে শুনাইল, ইহা বিচার করিবার অবসর থাকে না ; প্রাণ আকুল হইয় পড়িতেছে, কেবল এই মাত্র ধারণা থাকে। কখনও বিরক্তি বোধ হয়, কখনও বা মনে প্রীতির সঞ্চায় হয়, কখনও আত্মা অশাস্তিতে ছটফট করে, কখনও বা শান্তির ক্ষণস্থায়ী মুখম্পর্শে ক্ষণকালের জন্ত মুখের আস্বাদ পায়। কিন্তু সেই অনিৰ্ব্বচনীয় আকুলিত ভাব কিছুতেই প্রশমিত হয় না; উৎ ক্রমশঃই পরিবর্ধিত