পাতা:পলাশির যুদ্ধ.djvu/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ *, “প্রিয়ে কেরোলাইন আমার ! যেই প্রেম অশ্রুয়াশি আজি অভাগার ঝরিতেছে নিরবধি, তরল না হত যদি গাথিতাম সেই হার তব উপহার কি ছার ইহার কাছে গোলকন্দাহার ”, পলাশির যুদ্ধে এরূপ কবিতা এবং এইরূপ ললিত পদাবলীর অভাব নাই। যেন লেখনী অবিরত মুক্তাফল প্রসব করিয়াছে। যখন বাল্মীকি কবিতা লিখিয়াছিলেন, তখন র্তাহাকে পরকীয় পদামুসরণ করিতে হয় নাই ; যখন হোমর বীররসে মন্ত হইয়া বজ্ৰগম্ভীরস্থবে সেই এক গীত গাইয়াছিলেন, তখন তাহাকে আর কাহারও কণ্ঠানুকৰণ করিতে হয় নাই। কিন্তু নূতন কবিদিগের সে সৌভাগ্য সম্ভবে না। তাহার প্রকৃতির নিকট যত না শিখিয়া থাকিবেন পূৰ্ব্বতন কৰি সম্প্রদায়ের নিকট তাহ অপেক্ষা অধিক শিখেন। সুতরাং তাহার জুকারী। নবীন বাবুও অমুকরণের অপবাদ হইতে নির্মুক্ত নহেন। লিরাজ উদ্দৌলার বিকট স্বপ্ন দর্শনে সেক্সপীয়বের তৃতীয় রিচার্ড নামক নাটকের স্বপ্ন দর্শন স্পষ্ট প্রতিভাত রহিয়াছে ; চাইল্ড হেরন্ডের তৃতীয় কাগুস্থ কতিপয় কবিতায় নৃত্য গীতেব যা বর্ণনা আছে, পলাশির যুদ্ধে কোন কোন কবিতায় তাহার ছায়া পড়িয়াছে, এবং বারণ ও স্কটকে আরও অনেক স্থলে অনুকল্পণ করা হইয়াছে। ইহাকে জামরা দেব বুলি না। কারণ, এ দোষে সকলেই সমান দোষী। দোষ অথবা অপূর্ণতার কথা বলিতে হইলে পলাশির যুদ্ধের বিশেষ