বারে সোজা হইয়া দাঁড়াইল। আজ তাহাকে চিনিতে পারিয়া ক্ষণকালের জন্য বিশ্বেশ্বরী বেদনায়, বিস্ময়ে স্তম্ভিত হইয়া গেলেন। রমার হৃদয়ের ব্যথা আর তাঁহার অগোচর রহিল না। রমা চোখ বুজিয়া ছিল, বিশ্বেশ্বরীর মুখের ভাব দেখিতে পাইল না। ডাকিল,—“জ্যাঠাইমা?”
জ্যাঠাইমা চকিত হইয়া তাহার মাথাটা একটুখানি নাড়িয়া দিয়া সাড়া দিলেন। রমা কহিল,—“একটা কথা আজ তোমার কাছে স্বীকার কর্ব জ্যাঠাইমা। পীরপুরের জাফর আলীর বাড়ীতে সন্ধ্যার পর গ্রামের ছেলেরা জড় হয়ে রমেশদা’র কথা মতো সৎ আলোচনাই কর্ত, বদমাইসের দল ব’লে তাদের পুলিশে ধরিয়ে দেবার একটা মৎলব চল্ছিল—আমি লোক পাঠিয়ে তাদের সাবধান করে দিয়েচি। কারণ, পুলিশ ত এই চায়। একবার তাদের হাতে পেলে ত আর রক্ষা রাখত না!” শুনিয়া বিশ্বেশ্বরী শিহরিয়া উঠিলেন। “বলিস্ কি রে? নিজের গ্রামের মধ্যে পুলিশের এই উৎপাত বেণী মিছে করে ডেকে আন্তে চেয়েছিল?” রমা কহিল,—“আমার মনে হয় বড়দা’র এই শাস্তি তারই ফল। আমাকে মাপ কর্তে পার্বে জ্যাঠাইমা?” বিশ্বেশ্বরী হেঁট হইয়া নীরবে রমার ললাট চুম্বন করিলেন। বলিলেন—“তার মা হয়ে এ যদি না আমি মাপ কর্তে পারি, কে পার্বে রমা? আমি আশীর্ব্বাদ করি, এর পুরস্কার ভগবান্ তোমাকে যেন দেন।” রমা হাত দিয়া চোখ মুছিয়া ফেলিয়া কহিল,—“আমার এই