প্রতিহিংসা কামনা করিয়া সে কোন্ বিশেষ কদর্য্য ধারায় রমার অখ্যাতিকে প্রবাহিত করিয়া দিয়াছে, এ সকল ঠিকমত অনুমান করাও তাহার দ্বারা সম্ভবপর ছিল না।
সেই দিন অপরাহ্নে একটা অচিন্তনীয় ঘটনা ঘটিল। আদালতের বিচার উপেক্ষা করিয়া কৈলাস নাপিত এবং সেখ মতিলাল সাক্ষীসাবুদ সঙ্গে লইয়া রমেশের শরণাপন্ন হইল। রমেশ অকৃত্রিম বিস্ময়ের সহিত প্রশ্ন করিল,—“আমার বিচার তোমরা মান্বে কেন বাপু?”
বাদী প্রতিবাদী উভয়েই জবাব দিল,—“মান্ব না কেন বাবু, হাকিমের চেয়ে আপনার বিদ্যাবুদ্ধিই কোন্ কম? আর, হাকিম হুজুর যা’ কিছু তা’ আপনারা পাঁচজন ভদ্রলোকেই ত হ’য়ে থাকেন! কা’ল যদি আপনি সরকারী চাকরি নিয়ে হাকিম হ’য়ে ব’সে বিচার ক’রে দেন, সেই বিচার ত আমাদেরই মাথা পেতে নিতে হবে! তখন ত মান্ব না বল্লে চল্বে না।” কথা শুনিয়া রমেশের বুক গর্ব্বে, আনন্দে স্ফীত হইয়া উঠিল। কৈলাস কহিল,—“আপনাকে আমরা দুজনেই দুকথা বুঝিয়ে বল্তে পারব; কিন্তু, আদালতে সেটি হবে না। তা’ ছাড়া গাঁটের কড়ি মুটোভরে উকিলকে না দিতে পার্লে, সুবিধে কিছুতেই হয় না, বাবু! এখানে একটি পয়সা খরচ নেই, উকিলকে খোসামোদ কর্তে হবে