পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ونامو) সংসর্ণের। সকলে যদি স্তায্য সময়ে স্তায্য গণ্ড ফেলিয়া দেয়, তাহা হইলে তোমাদিগকে কষ্ট পাইতে হয় না, আমাকেও কথা সহিতে হয় না। আমি ত করিবই, তোমরাও পাষণ্ড-দলনের চেষ্টায় বদ্ধ-পরিকর হও । , আর একটা সাধারণ কথা টের পাইয়াছি। নরলোক যে বানর লোকের সাক্ষৰং বংশধর, এটা অনেকেরই এখন বিশ্বাস হওয়াতে, ব্যবহারট। তদনুরূপ হইয়া উঠিয়াছে। তোমাদের মধ্যে যিনি কথক, তিনি উচ্চ কাঠাসনে তোমাদের অবোধগম্য কিচির-মিচিরে তোমদিগকে উপদেশাদি দিয়া থাকেন, তোমরাও দাত দেখিয়াই পরম তুষ্ট । লাভে হইতে এই দাড়াইয়াছে যে, আমাদের ভাষার অনেকটাও তোমাদের বুদ্ধির ও জ্ঞানের অতীত হইয়া পড়িয়াছে। প্রমণ তোমাদের সাধারণী, তোমাদের সঞ্জীবনী। আর সাধারণীর কথ, আজি কাল তোমাদের বেদ । বৎসগণ, ভ্রান্তি পরিহার করে, ধৈর্য্য শিক্ষা করে, ব্যস্ত হইও না । তোমাদেরই পূৰ্ব্বপুরুষেরা সাত শ বৎসর পাষাণে বুক বাধিয়া ধৈর্য্য দেখাইয়া আসিতেছেন; তোমরা আর মাসেক তুমাস পরিবে না ? ধিকৃ তোমাদিগকে ! সাধারণ কথা আর একটা বলিয়াই বিশেয কথার অবতারণা কর। যাইতেছে। যাহারা ভাবুক, তাহারা বুঝিতে পারিয়াছে যে, পঞ্চনন্দের উদ্দেশু সিদ্ধ হইয়াছে। বাস্তবিক । বাঙ্গাল কথার ইজ্জত নাই, বাঙ্গালীর সময়জ্ঞান নাই, বঙ্গে প্রতিজ্ঞার দৃঢ়তা নাই, এই সকল তত্ত্বের প্রমাণ দেওয়াই পঞ্চানন্দের উদ্দেশু। তাহ সফল হইয়াছে। পঞ্চানন্দ সকলে আদর করিয়া পড়িতে চাহে না, পঞ্চ পড়ে, চারইয়ারি পড়ে, বীদরামি করে,—কিন্তু বাঙ্গলা কথার ভিনকুলে কেহ নাই, পঞ্চানন্দের আদর নাই, সুতরাং বাঙ্গলীয় সময়জ্ঞান নাই, ইংলিসমানের, দাম অগ্রিম সকলেই নেয়,