পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సిశ్చి পাচুঠাকুর । মজুরও উহারই মধ্যে একটু স্বাধীনভাবে আপনার শরীরের ভাব, মনের গতি বুঝিয়া চলিতে পায়! কিন্তু এই ভালমানুষের ছেলেদের কষ্টের আর পরিসীমা ছিল না। বাস করিতে হইবে, তা এমনি ঘর যে, “ডিঃ গুপ্ত” সঙ্গে না লইলে প্রবেশ করিবার যে নাই, রাধিয়া ৰাড়িয়া পোড়া পেটে চারিটি দিতে হইবে, তা উনন পাতিবার স্থান নাই, কোদাল ধরিয়া অষ্টাঙ্গ ঘামাইয়া একটু খেলা-ধূলার জায়গ করিবে, তা সেই দিকেই, তার উপর দিয়াই বোঝাই গাড়ি যাইবার হুকুম হুইবে ; স্নান-পানের জল লইবে, তা ফিরিঙ্গি ছেলের ঘাটে নামিতে দিবে না। বড় কষ্টের সমঘ ও লোকে আগমনস্ক হইয়া একটু গামোদের ৭ জ করে ; পুত্ৰশোকবিহবল রমণী কঁদিতে কঁাদিতে একটী তৃণ কাটি, ধ খণ্ড করে ; সে এক প্রকার অমোদ বৈ কি ? শ্রীশচন্দ্র ভদ্রমস্থ •. এ দুঃখের সময়ে আনমনে একটু আমোদ করিতে গেল; কারখানার একথান। ছেমির কল নাড় চড়া করিতে লাগিল । একে আন্তমনস্ক, তায় কপাল , মন্দ, শ্রীশচন্দ্রের হাতে সেই ছেনিটা ভাঙ্গিয় গেল । ফল কি হইল, সকলেই জানে। কারখানার ছোট কর্তা ফোরেকস সাহেব"ভদ্রলোকের ছেলের ঘাড়ে ধরিয়া ধাক্কাধাঙ্কি, বেঞ্চের উপর যষ্টিতাড়ল, এক মহাব্যাপার আরম্ভ করিয়া দিলেন। মানুষে কত সয় বলে ? সমস্ত ভদ্রসন্তান যুটিয়া একপরামর্শ হইয়া শিক্ষবিভাগের সৰ্ব্বেসৰ্ব্ব সাহেব বাহাদুরের কাছে দরখাস্ত করিল; কঁদিয় জানাইল যে, এ অপমান, এত অত্যাচার ভদ্রলোকের প্রাণে কিছুতেই সহ হয় না। ফোরেকস সাহেবকে না তাড়াইলে ভদ্রসস্তান আর মান লইয়া, আস্ত হাড় রাখিয়া আর তিষ্ঠিতে পারে না। বাস্তবিক, এত দুঃখ সংসারে কাহারও হয় নাই ; ভদ্রপন্থানের