শিবপুরের ব্যাপার। , ሕኚ যিনি যাহাই বলুন, আমাদের গবর্ণমেণ্টের মত রাজ্যশ্ৰণালী, এত প্রজানুরাগ, এরূপ সমদৰ্শিতা বড় একটা সুলভ পদার্থ নহে। রাজ্য-বিপ্লব নয়, শাসন সম্বন্ধীয় কোনও প্রকাণ্ড সমস্যা নয়, এই বিশাল রক্ত্যেমধ্যে কোথায় এক গুরুমহাশয়ের সঙ্গে ছাত্রদের বিরোধ হইয়াছে, বিভাগের কর্তা তাহার একটা যেমন হউক নিষ্পত্তি করিয়া দিয়াছেন, তথাপি এই সামান্ত উপলক্ষে রাজপ্রতিনিধি বঙ্গের ছোট লাট ইঢ়েন সাহেব মধ্যস্থত করিতে অগ্রসর হইলেন । এ ব্যাপারে রাজ্যের • একটা সামান্ত মশা ও স্থানভ্রষ্ট হয় নাই, অথচ রাজেশ্বর স্বীয় সৰ্ব্বতোদর্শন দেখাইতে ব্যস্ত ইষ্টয়া উঠিলেন! এমন কোন ও কথা নাই যে, সকল বিষয়েই লাট সাহেবকে হস্তক্ষেপ করিতে হুইবে , এমন কাহার ও সাধা নাই যে, লাট বাহাদুর অমুক প্রসঙ্গে নিজ মত প্রকাশ করিলেন না বলিয়; কেহ তাহার কেশম্পর্শ করিতে পারে। কিন্তু তথাপি এই সমান্ত বিষয়ের জন্ত লাট সাহেবের মাথাব্যথা। তাই যে য হউক একটা করিয়া দেওয়া, তাই নয়। প্রকাগু গেজেটে, প্রকাগু ভাবে উভয় পক্ষের দোষ-গুণের সমালোচনা করিয়! লাট সাহেব যেন সাধারণ প্রজাবৰ্গসমীপে নিজের কৈফিয়ৎ দিতে, সাফাই করতে বসিয়াছেন । কি সাহস! কি সুদীশয়তা ! কি লোকানুরাগ। কি সৰ্ব্বজনীনতা ! যিনি ইঙ্গিত করিলে মাথার পর মাথা গড়াগড়ি যায়, যিনি নিশ্বাস ফেলিলে ফণসীর আসামী খালাস পায়,—তাহার এই সৌজন্য। এমন সুখের কথা, এত আনন্দের কথা আর কি হইতে পারে রাম-রাজ্যের যদি কোন ও অর্থ থাকে,তাহ হইলে এই সেই রাম-রাজ্য ; রাজপদে বসিয়া কেহ যদি গৌরব করিতে পারে, তাহা হইলে ইডেন সাহেবের গৌরব অপরিসীম এব’ অগরিমেম্ন ।
