পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সরকারের ব্যয়সংক্ষেপ । মহকুমার ডিপুটী ম্যাজিষ্ট্রেটের নাজির সরকারি লেফাফা বন্ধ করিতে গিয়া দেখিলেন, গালাবাতি ফুরাইয়াছে। এক পয়সার গালাবাতি বাজার থেকে কিনে আনিবার জন্ত ডিপুটী বাবুর অনুমতি চাহিলেন । ডিপুটী বাবু আশ্চৰ্য্য বোধ করিলেন ; সংবৎসরের জন্ত যাহা কিছু দরকার, গত ১লা এপ্রেল হিসাব করিয়া আনান হুইয়াছিল ; অন্ত ৩০শে মার্চ গালাবাতির অভাব হইল, ইহা অষ্ঠায় কথা। “ ডিপুটীবাবু নাজিরের কৈফিয়ৎ তলব করিলেন। লেফাফা বন্ধ হইল না, পড়িয়া রহিল । নাজিরের কৈফিয়তে প্রকাশ যে, আফিসের কাগজ কলম, ছুরী, কঁচি, গালা বাতি, ফিতে কালি প্রভৃতি সরঞ্জামের বরাদ্দ কেরাণীখান। হইতে হইয় থাকে ; কমি বেশীর কথা কেরাণীখানার আমলারাই বলিতে পারেন । নাজির যাহা পায়, তাহার হিসাব প্রভত আছে, সে হিসাব সমঝাইয়া দিতে নাজিরও প্রভত আছে। কৈকয়তের উপর হুকুম হইল, হেড কেরাণী তিন দিবসের মধ্যে গালাবাতির ' জবাবদিহি করে। লেফাফ রওয়ানা করা বন্ধ রহিল। { } হেড কেরাণীর রিপোর্ট পাঠে ডিপুটী বাবু অবগত হইলেন যে, গত বারের বরাদ্দ করিবার সময়ে যিনি কেরাণী ছিলেন, তিনি পেন্সন লইয়।