পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাতাণী সাল। সাতাশী সাল চলিয়া গিয়াছে, বাঙ্গালীর আর এক বৎসর ফুর য়াছে। ইহাতে সুখ-দুঃখের কিছুই তো দেখি না। নিত্যই । এক বৎসর.যাইতেছে ; সাতাশী আটাশী কেবল গণনার কথা । মুখেব হুঃখের কথা তুলিতে হয়, কি বলিতে হয়, ড্রাহা হইলে । গৈল বলিয়। মুখ দুঃখ প্রকাশ করাই উচিত। কিন্তু দিনের বোকে, এমন লোক অল্প তাই দীর্ঘকাল পরে নিঃসডে দিনের দিন-বহু দিন–কাটাইয় নিদ্রিতের পার্শ্বপরিবর্তনের স্থায় বর্ষ। এক দিম, এক বার, বৎসর গেল বলিযা লোকে অধরোষ্ঠ সঞ্চt করিয় থাকে। তাহার পর যে ঘুম, সেই ঘুম। সাতাশী সাল বা গেল , দশ জনে বলে, আমিও একবার বলি । ইরি বলে, দিন গেল ! তিনটী তুড়ি দিয়া বিকট হাই তুমঃি সাতাশী সালের অস্তিম দিনের অস্ত্যেষ্টি ক্রিয়া সম্পন্ন করা যাউ যেমন করিয়াই হউক, যে সময়েই হউক, হরিনাম লইলে ফল আে যে অসাড, নিস্পন্দ, ক্রিযহীন, প্রাণবজ্জিত, তাহার জন্ত হরি বিশেষ মহাত্ম্য ধারণ করে । “যার কেউ নেই তার হরি আছে যখন নির্জীব মানবের মৃতদেহ গঙ্গাতীরে লইয়। যাইতে হুয়, ષ્ટિ তাহাকে "হরি হরি বলে, হরিবোল” বলিয়া হরিনাম শুনাইবার ব্যআছে, রীতি আছে। সাতাশী সালের বঙ্গবাসসমীপে, এক “হরি বলে, দিন গেল” বলিয়। হরিনাম সঙ্কীর্তন করা কর্তব্য । যাহা বলিলাম তাহা সভ্য । কিন্তু তবু উহারই মধ্যে এ কথা আছে ; যে মাছটা স্থত কাটিয়া অথবা জাল ছিড়িয়া পাঃ সেটা খুব বড় মাচু ; আর ষে মানুষটা মায়াস্বত্র কাটাইয়া অ এভবস্থাল ছিন্ন করিয়া লোকলীলা সম্বরণ করে, সেই খুব বড় লোক