পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ক্রমাগত চোলেচে। বিট্‌লে যে মাইনের টাকাগুলো মার্টু কোচে, তা করুক ; ঐ যে এত কাগজ, কলম, কালি নষ্ট করে, তাতেই বড় কষ্ট হয়। আমার কেবলই মনে হয় যে, পঞ্চানন্দ ঠাকুর এত কাগজ কলম পেলে না-জানি কি একটা কারখামাই কোরে ফেলত। শুনতে পাচ্ছি বিটলে এই বার যাবে। না টেকলেই ভালো। যে এ দিন যাবে, আমি সেদিন পালক ঝেড়ে একবার হাওয়া খাবে, এই রকম গ্রহ উপগ্রহ লাটমন্দিরে অনেক আছে। সব কটার কথা বোলতে গেলে বিস্তর সময় নষ্ট হবে। যতীন্দ্র ঠাকুর টাকুর আর আর যারা আছে, তাদের আমি গ্ৰহ উপগ্রহ বোলে ধরি না। তাশ লাটমন্দিরে মলাট মাত্র-সোণার জলে হলকরা বেশ বঁধানে, ওপরে টাইটেলটুকু আছে, কিন্তু ভেতরে সব ফাক ; তাই তাদের মলাট বেলচি । শুদ্ধ শোভার্থে তাদের নিয়ে গিয়ে লাটমন্দিরে সাজিয়ে রেখে স্থায়, দরকার হোলে কর্তার: নেড়ে চেড়েও ছাখেন, কিন্তু ভেতরে কখনও কিছু খ জে পান না, সেই জন্ত বোলচি যে, এদের ভেতরে সব ফাক ! নইলে বিশ কোটি লোকের রেদ বোলে আমন যত্ন কোরে তুলে নিয়ে গিয়ে কাজের বেলায় অমল তুচ্ছ তাচ্ছল্য কোর্বে কেন ? এক দিনও দেখলুম ন যে, এদের কথা বিকুলো অথচ গতি বিধি সাধ সম্মান—কিছুরই কমুর নাই । আমার মনে হয় যে এরা বড় বেহায়া লোক ; নইলে পয়সা নেই, কড়ি নেই, শক্তি নেই, সামর্থ্য নেই,—এসব দেখে শুনেও রোক্ত রোজ পরের আমোদ বাড়াবার জন্ত সঙ সাজতে যাবে কেন ? আমি হোলে ত কিছুতেই যেতেম না, যেখানে আমার কথা চলে না, সে দিকে আমার পাও চলে না, এই আমার মত। - শিবপ্রসাদ নামে একটু মেডুয়া রাজাও এই মলাটের দলে মাছে ।