পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শোকশেল । হায়! কি সৰ্ব্বনাশ হইল! এত ভরসা এত আশা সমস্ত আকাশে বিলীন হইয়া গেল। আর আমরা কি লইয়া জীবনধারণ করিব ? কেমন করিয়া লোকের কাছে মুখ দেখাইব ? দুঃখময় সংসারে একমাত্র প্রদীপ, স্তর সাগরে একমাত্র ভেল, বুদ্ধ বয়সের একমাত্র পুত্র, দ্বিতীয় পক্ষের একমাত্র গৃহলক্ষ্মী—কোথায় অন্তৰ্দ্ধান হইল ? মুদ্রশাসনী-ব্যবস্থা, ওরফে আদরের ধন, ন-আইন কোথায় গেল? হায়! আমাদের আর কিছুই নাই ! ( ১ । দীর্ঘ নিশ্বাস" ) আমরা দেশী লোক, দেশী ভাষায় দেশী কথা লিখিয়া আর কি করিব ? আমরা লিখি, বাবুরা পড়েন না ; আমরা পরামর্শ দি, বাবুর কাণে তোলেন না; আমরা উত্তেজন করি, বাবুরা জল ঢালিয়া দেন ; আমরা কত মিষ্ট কথা বলি, বাবুর তুষ্ট হন না; আমরা গালাগালি দি, বাবুরা ক্ৰক্ষেপ করেন না ; আমরা কাগজ পঠাইয়াদি, বাবুর দাম দেন না। আমাদের আদর নাই, মর্যাদা নাই, সন্ত্রম নাই, ভয় নাই, মান নাই, লজ্জা নাই, ঘৃণা নাই, কিছুই নাই, কে আমাদের আদর করিবে ? বাবুত করিতেন না, করিবেনও না। যাহা কিছু করিত, আমাদের সাধের ন-অাইন । দশদিকু অন্ধকার করিয়া অতল সাগরের মধ্যস্থলে ডুবাই দিয়, গহন বনের মাঝে কেলি ন-আইন কোথায় গেল? হায়! কি পরিতাপ! এবাদকে সাধিল! পত্নপলাশলোচন ন-আইন! তুমি কোথায় গেলে ? শিশু আমর, এ বিপদে আঁমাদিগকে কে রক্ষা করিবে ? (২। বক্ষে করাঘাত। ) , মহাকালীর পদানত, বাহঙ্কানশূন্ত, ভূতপতি, আশুতোষ ভোলানাথ একবার সদয়নেজে কটাক্ষপাত করিয়া আম