পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজকাৰ্য্য পর্য্যালোচনা | ՖՀ Տ দ্বিতীয়ত: বাঙ্গালীদের মনে এ প্রকার ভ্রম হওয়া আশ্চৰ্য্য নহে যে, কনষ্টেবলের দরখাস্তেই বুঝি জজ সাহেবের চাকরি গেল। অথচ এরূপ ধারণা জন্মিয় গেলে, এবং প্রকৃত পক্ষে কনষ্টেবলের কথায় জজ সাহেব হেন ব্যক্তিকে অপদস্থ হইতে হইলে, ইহার" পর রাজকার্য্যে সাহেব লোক পাওয়াই দুঃসাধ্য হইবে। এদিকে সাহেব লোক যদি বিরক্ত হইয়া বঙ্গদেশে আর চাকরী স্বীকার না করেন, তাহ হইলে বঙ্গাধিকার বৃথা, সমুদ্র লঙ্ঘন বৃথা, আর মিথ্যা-কথাতেদশানন-রূপী বঙ্গবাসীরণপুরী ছারকার করাও বৃথা। . মতরাং হয় লাট সাহেব কম্পবেলের জজিয়তি কম্পবেলকে পুনঃপ্রদান করুন ; নতুব। যদি অভ্যন্তরের কোনও গৃঢ় কথা থাকে, তাহ স্পষ্টাক্ষরে ব্যক্ত করিয়া দুরাণী বঙ্গবাসীর ভ্রম দূর করুন | মোশলির অতুল-কীৰ্ত্তি সম্বন্ধে লাটের চিার সর্বাঙ্গমুন্দর ন হইলেও পূর্ববৎ মন্দ হয় নাই। লাটবুদ্ধির উন্নতি দেখিয়৷ পঞ্চানন্দের আশ্বাস হইয়াছে। {} অত্যাচার কাহাকে বলে, অতুল বাবু তাহা জানেন না। নচেৎ গোরু ছিনাইয়া লওয়ার মোকদ্দমাতে তাদৃশ অল্প দ ও দিতেন না। ইহাতে জানা যায় যে, অতুল বাবুর নীলের চাষ নাই। " আইনে সাজার চূড়ান্ত সীমা লিখিয়া দেয়, অপরাধ বুঝিয়া অপরাধীর সেই দণ্ডের তারতম্য করাই, হাকিমের কৰ্ম্ম। অতুল বাবুর প্রতি দয়া করিয়া কোন মোকদ্দমায় কি আন্দাজ সাজী দেওয়া উচিত, মৌশলি সাহেব ইহা দেখাইয়া *দেওয়াতে, তাহার নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা কর্তব্য। কারণ, হাকিম হইয়া যে বুদ্ধিটুকু খাটাইতে য়, অতুল বাবুর আর তাহা খাটাইতে হইত না, অর্থঃ পুরা মায়ানাটা বাস্থগত হইতে পারিত। এ সামাঙ্ক