পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩৬৯ *ीहू?ा ब ।। অভয়াং ননীগোপাল লাট সাহেবের কথায় মনের বেগ সামলাইতে পাজিল না ; এত লেখা পড়া শিথিয় কিছু হইল না, অতএব দশায় ২৯বে কি—ইহা সত্য সত্যই ভাবনার কথা বুঝিয়াই ননীগোপাল কান্দিল। তখনি আবার লাট সাহেবের আটালিক, লোট সাহেবের গাড়ী ঘোড়া, লাট সাহেবের নাচ গান, লাট সাহেবের খানা পিনা, এত হাঙ্গামের ভিতর পরের দশার জন্ত ভাবনা কেমন করিয়া থাকিতে পারে, বাস্তবিক থাকিবে না, যথার্থ ভাবনা থাকিলে পন্থাও হয়- -এই সব মনে করিয়াই ননীগোপাল হাসিল। সভা ভঙ্গ হইলে ননীগোপাল আবার সেই অন্নের চেষ্টায় ফিরিতে লাগিল। সংবৎসরেও অল্পসংস্থান হইল না, কিন্তু অল্পের সংস্থান করা ঘে খুব সহজ ব্যাপার, ধনী হওয়াটা যে সকলেরই ইচ্ছায়ত্ত, ননীগোপাল ইহা বুঝিতে পারিল । কারণ, সংবৎসরই বক্তার বক্তৃতায় এই কথা, সংবাদপত্রের লেখায় এই কথা অনর্গল বহির হইতেছিল,— India is rich, you are rich , develope the resources of your country. out the mine of wealth that is in her. Set abont your task in right earnest, and you shall want nothing, ইংরেজীতে এই সব, “বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মীঃ" বাণিজ্য করে, কৃষি করে, মাথা করো, মুণ্ড করো—বাঙ্গালায় এই সব কথা, নিত্যই ননীগোপাল শুনিতেছিল বা পড়িতেছিল ; যাহার অল্প আছে সে বলে, যাহার “অদ্য ভক্ষ্যো ধনুৰ্গুণঃ” সেও বলে, যাহার উচ্চপদ, তাহার মুখে এই কথা, যে চাকরির জন্ত লালায়িত হইয়। বেড়াইতেছে, তাহার মুখেও তাই। দুঃখের বিষয় এই যে, এ সকল কথা বুঝিয়াও, ইহার মৰ্ম্ম জানিয়াও ননীগোপাল এ সমস্ত প্ৰলাপ মনে করিতে লাগিল । o বৎসর খুন্ধিয়া গেল, আবার গৌরমোহন আঢ্যের স্কুলে