পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুলে কুঠারাঘাত। 》 속 বিতরণ ; • এবার প্রধান বিচারপতি বক্তা, ননীগোপাল উপস্থিত। প্রধান বিচারপতি বলিলেন,—“সকলকেই যে ডাক্তার,উকীল, সঙ্গীতবিশারদ বা চাকুরে হইতে হইবে, এমন কোনও কথা নাই। ভগবান এক এক জনকে এক এক গুণ দিয়াছেন, মন দিয়াছেন, মন দিয়া লাগিলে একটা না একট কাজ যে যুটিবেই, সে কাজে ফল যে ফলিবেই, ইহা আমার দৃঢ় বিশ্বাস। এই দেখো কত ব্যবসা আছে, তোমরা অবলম্বন করিলেই হয়—এঞ্জিনিয়ার হইতে পারে, জরীপের কাজ করিতে পারে, উকীত্ব হইতে পারে, চিকিৎসক হইতে পারো” ইভ্যাদি । . . বিচারপতি সমস্ত বলিলেন, কেবল পস্থাটা বলিয়া দিলৈম-লা । ননীগোপাল বাড়ী আসিল, কৰ্ম্ম কাজের আশা ছড়িয়া দিল, স্ত্রী পরিবারকে শ্বশুরবাড়ী পাঠাইয়া দিল, মদ ধরিল, ইয়ারকিতে মশগুল হইল। “মিত্রবদাচরেৎ° কাহাকে বলে, ননীগোপাল তাহা বুঝিল, ননীগোপাল মানুষ হইল। কিন্তু বাঙ্গালার তুর্ভাগ্য, মানুষ বেশী দিন টেকে না ; অল্প দিনের মধ্যেই ননীগোপালের স্ত্রী বিধৰা হইল, ননীগোপালের ছেলের পিতৃহীন হইল। “আমার কথাটী