পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙ্গালী ভাষা উঠাইয়া দিতে আপত্তি আছে। ১৭৩ बच्चा: "এই অভিপ্রায়ে বিরুদ্ধাচরণ করিবার চেষ্টা করাও যে অসমসাহসিকতা এবং নির্বুদ্ধিতার কার্য্য, তদ্বিষয়ে সন্দেহ নাই । “দশ চক্রে ভগবান ভূত” এ প্রবাদ ও আমি অবগত আছি। কিন্তু রোগই বলুন, কিম্বা মানব প্রকৃতির শকরত্বই বলুন, একপ দিগগজ পণ্ডিতদের মত সৰেও আমি বঙ্গলা ভাষার উচ্ছেদ সাধনে সম্মত হইতে পারিতেছি না। ইহা আমার তুৰ্ব্বদ্ধি হইতে পারে, তুর্ভাগ্য হইতে পাবে, কিন্তু সন্তা সত্য মনে যাই"ষ্ঠইতেছে, তাত কেমন করিম চাপিল। যাইব ? অধিক কি, যদি ন-আইনে প্যতাল্লিশ আইন যোগ কৰুি স্বয় লাটঃ সাহেব আমাকে তোপে উড়াই দিলাব ব্যবস্থা করেন, তাই। হইলে ও বাঙ্গালা ভাষা উঠাই ন দিলে য কিছুতেই চলিতেছে - , -এরূপ ধারণা করিতে আমি অক্ষম । কিন্তু যেখানে সকলেই বলিতেছেন যে, বাঙ্গাল ভাষ| ন! উঠাই । দিলে বঙ্গদেশের সর্বনাশ, সেখানে আবশ্বই অমাব বক্তব্য বিনয়েব সহিত ধৈয্যের সচ্চিভ এবং গুণন্ত্রীর্যোব পার্কিত প্রকাশ করিতে আমি বাধ্য। গুরুতর প্রশ্নে পণ্ডিতগণের প্রক্রি কল কথা বলিতে গুইজল সন্মানের সহিত বলা আবশ্বক, তাত আমি জানি । অতএব আমি যে সকল আপত্ত্বি নিবেদন করিতেছি, তাহার সারৰত্তার প্রতি লক্ষ্য করিয বঙ্গবাসী বিদ্বনিমগুলী তামাব ব্যবহাবেক প্রতি আক্রোশ প্রকাশ করিবেন না । এষ্ট আমার ভিক্ষ । இ ফলতঃ আমাকে এত মুখ বা বোক মনে করিবেন না যে, সত্য সত্যই কেতাবী বাঙ্গালী ভাষার অমুকুলে সমি বদ্ধপরিকর হইযছি। যাহাতে এত ষত্ব ণত্ব হ্রস্ব দীঘের উৎপাত আছে, তাহ লইয়া ভদ্র লোককে বিত্রত করতে কোন পামরের ইচ্ছা হইতে পারে ? তবে তেলী তামলী, গয়ল মালী, চাষ ভুষে, হভি ডোম প্রতৃতি গরীব কুঃখী লোক যে ভাষাকে অবলম্বন করিয় কোনরূপে পাপ বাঙ্গালী