পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাং tল । ভাষা উঠাইয়া দিতে আপত্তি আছে । ১৭৫ পত্ৰ লেখা उप्रांदॐक হইলে Dear Papa Dear Mamma si লিখিয়া প্রিয় বাপ, প্রিয় মা সম্বোধন করিয়া কতক সময় বঁাচাইতে পারা যায়, এবং সে সময় টুকু বাঙ্গালী ভাষাকে দেওয়া যাইতে পারে। এট যে একটা শুরুতর তর্ক তাহা বলিতেছি না, তবে অন্ত দশ কথার সঙ্গে ইহার বিবেচনা করিলে করা যাইতে পারে, o মাত্র আমার বলিবার উদ্দেশু। . ভাষা বিরোধের যে কথা বলা হইয়াছে, তাহ যে একেবারেই অসঙ্গত তাহা বলি না। কিন্তু বড় লোকে ছোট লোকে, ইতরে ভদ্রে, সুশিক্ষিত বাবুতে এবং অসভ্য চাষাতে যখন একটা প্রভেদ থাক অত্যাবগুক, বিরোধ না থাকিলে প্রকৃত উন্নতির আশা করা যাইতে পারে না, তখন ভাষা-বিরোধের আপত্তি বা মনো-মালিন্তের শঙ্কা, কেমন করিয়া সৰ্ব্বাস্ত:করণে অনুমোদনীয় হইতে পারে ? যত্ব করিয়া যাহা রাখিতে হয়, চিরদিন যাহা রাখিতে হইবে, তাহার রক্ষণপ্রণালী লইয়া এত বাছবিচার কারলেই বা চলিবে কেন ? এখন ভ বাঙ্গল ভযে জীবিত আছে—বিকারের রোগীর মত তাহার অবস্থা বটে, তথাপি জীবিত—এখন যে কারণে বঙ্গবাসীর হিতের কথা হইলে, কোন একটা দরকারী কথা হইলেই ইংরেজীতে বাদু, প্রতিবাদ, বিতর্ক, বিতণ্ডা, বিচার, বক্তৃত করা যায়, বাঙ্গলা ভাষা উঠাইয়া দিলেও ত সে কারণের বিনাশ হইতেছে না। সাধারণ বাঙ্গালী যাহাতে না বুঝিতে পারে তাহাই ত উদ্দেশু, তা বাঙ্গল উঠাইয়। দিলেই যে সকলেই ইংরেজীতে দখলীস্বত্ব রিশিষ্ট হইয় উঠবে, মারুন আর কাটুন এমন বিশ্বাস ত আমার হয় না। লোকে এখনও বােলে, তখনও ধুঝিবে না এমত স্থলে সামান্ত ব্যক্তিদের যৎসামান্ত ভাব বিনিময়ের পথে কাটা দেওয়াটা কি খুব সুবিবেচনার কাজ হুইবে ?