পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চানন্দী ব্যাকরণ। e 1 ఫె ব্রহ্মজ্ঞানীর ও মৰ্ম্মভেদ করিয়া চিত্তবিকার উৎপাদন করে, তাহাকে তীক্ষু স্বর কহে । সেই অক্রোশে অবশিষ্ট অংশকে ভোতা বলা হয় । স্বরবর্ণ যাহাদিগকে চালায় অর্থাৎ পঞ্চানন্দ পাঠে যাহারা বিচলিত হয়, তাহাদিগকে হল বর্ণ কহে । হুল বর্ণ পরমুখপ্রত্যাশী হইলেও চাষার অস্ত্র হইলেও তাছার উপকারিত আছে ; তুহার গুণে ভাষার অর্থাৎ পঞ্চানন্দের উৎকুর্ষণ হয় । বর্ণের উৎপত্তিস্থান। ১ । মনের মধ্যে উদিত হইয়া কণ্ঠ, তালু, জিহ্বা, ওষ্ঠ ও নাসি কার সাহায্যে অথবা কাগজ কালি কলমের সাহায্যে স্বরবর্ণ উৎপন্ন হয়। এই স্থানভেদ বা প্রকরণভেদ, অবস্থাভেদেই হইয় থাকে, যথা, নিতান্ত বিব্রত অবস্থায় স্বর নাকী হয় । ২ । গলাগলিতে লোভ এবং অর্থে তিতিক্ষা সংযুক্ত হইলেই হল বর্ণ উৎপন্ন হয়। এরূপ.না হইলে চাষার হাতে পড়িবে কেন ? সন্ধিপ্রকরণ। . একাধিক বর্ণ একত্র করিয়া ঘনিষ্ঠতা করিলেই সন্ধি হয়। সন্ধি হইলে মনের খটকা যায় ; যথা, শ্ৰীক্ষেত্রে, হোটেলে । সন্ধি দুই প্রকার, স্বর সন্ধি ও হল সন্ধি । ১ । যেখানে মনের কোরকাপ মিটিয়া পঞ্চানন্দ এবং তইার স্বরে সম্পূর্ণ একীভাব হইয়া যায়, সেই খানেই স্বরসন্ধি হয়। যথা নবপত্নী । ২ । হলবর্ণ স্বরবর্ণের পূর্ববৰ্ত্তী ব পরবত্তী হইয়া মিলিত হইলে স্বরবর্ণে যদি পাচ টাকা সংযুক্ত, হয়, তাছা হইলে ফলসন্ধি হয়। এবং হলুবর্ণের পর হলবর্ণ আসিয়া পঞ্চানন্দের তহবিলে মিলিত হইলেও হুলসদ্ধি হয়। উদাহরণ বাহুল্য মাত্র। টীক্ট। —গ্রাহকগণ কোন কারণে চটিয়া গেলেই পন্ধির বিচ্ছেদ হয়। তাছাত্তে ভাষার অনিষ্ট, উভয় পক্ষেৰ বলক্ষয় ।