পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• " দশ অবতার। স্থিশাস্ত্রকর্ডারা ইতিহাস, দর্শন বা নীতি শাস্ত্রের কথা রূপক অলঙ্কারে সাজাইয়া বলিয়া গিয়াছেন, সাদা সিধা কথায় প্রায় কিছুই বলেন নাই। মানব সমাজের উন্নতির ক্রম দেখাইবার জন্ত দশ অবতারের যে কল্পনা করিয়াছেন, দৃষ্টান্ত স্থলে তাহার উল্লেখ কল্পি.লষ্ট যথেষ্ট হইবে। এটুকু বলিবার তাৎপৰ্য্য এই যে, দশ অবতার বলিলে সেই একই পদার্থ চিরকাল বুঝিতে হইবে, তাহা নন্তে । শাস্তকর্তৃ:ব যুগে যুগে যেমন অবতার কল্পনা করিয়াছেন, পঞ্চানন্দ এই এক গেষ্ট সেই সমুদয় অবতার দেখাইয় দিতে প্রভত আছেন। আ এক বঙ্গদেশেই সমস্ত বিরাজমান, সুতরা’ বঙ্গের এমন স, ভগোর পরিচয় দেওয়াই পঞ্চাননের কর্তব্য । ১ –সত্য যুগের অবতার। এখন সভ্য ত্রেত। দ্বাপর মহে মনে করিয়া ধাইরে বঙ্গ দেশে সত্যযুগের অবতার থাক। অসম্ভব বিবেচনা করিবেন, তাহার নিতান্ত ভ্রান্ত । বাস্তবিক যেখানে স্যায় রক্ষা, অন্তায়ের শাসন হইতেছে , যেখানে মিথ্যা প্রবঞ্চন প্রভৃতি পাপের লেশ মাত্র নাই ; · যেখানে ষোলো আনা পুণ্য—সেই রাজদ্বারেই সত্যযুগ। • সত্যযুগে চারি অংষ্ঠায়—মৎস্য, কূৰ্ম্ম, বরাহ এবং নৃসিংহ । রাজদ্বারে ও এই চারি অবতার আছেন । প্রথম মৎস্য —ইনি বঙ্গদেশের পুলিশ ; গভীর জলে বাস, ক্রীড়াচ্ছলে যখন পুচ্ছ আস্ফালন করিয়া নরসমাজে ভাসিয় ওঠেন তখন দৃষ্টিগোচর ; কোথায়ও চার পড়িলে বাকে ঝণকে, উপস্থিত হইয়৷ ঘাট তোলপাড় করেন; আমিষের দোষে নিয়তই অপবিত্র, অথচ নহিলেও চলে না । কালচ কখনও জালে লোকের আনন্দ