পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'సెసి *\हूठाढूंद्र : ভট্টাচাৰ্য ব্রাহ্মণ, সৌভাগ্য বলে আমার পিতৃভোগ্য অপৰ্ব-কদলাসিদ্ধ-সহায়-অন্নয়াশিকে পরিবর্জন করিয়া, এখন যে কাঠাসনে উপবিষ্ট হইয়া কণ্টক-কৰ্ভরীর সাহায্যে পাদুকাসমেত, ভগবতাংশ স্বচ্ছন্দে উদরাগত করিবার যোগ্য হইয়া আর্য্যশাস্ত্রীয় ক্রিয় কলাপে সমধিক সম্মান লাভ করিতেছি,তাহা আমি জানি এবং সে সৌভাগ্যের বিধাতা কে তাহাও আমি জানি। এ সমস্ত বৃত্তান্ত আপনাদের অবিদিত নাই। তবে জিজ্ঞাসা করি, সাহস সহকারে অকুতোভয়ে আপনাদিগকে জিজ্ঞাসা করি, যে স্বজাতীয ভাষায় বিজাতীয় বর্ণমালার প্রয়োগ হইলে যদি গৌরজনরঞ্জন হয়, তবে তদ্রুপ প্রয়োগবিধানে আমরা কেন নিরস্ত থাকিব ? আমরা কি জন্ত যত্বপর হুইব না ? আমাদের উদ্যম সফল হইবে না, আমরা উপহাসাম্পদ বা নিন্দাভাজন হুইব, সে আশঙ্কা করিবার প্রয়োজন নাই | সৎসঙ্গই কাশীবাস—ব্যাস কাশীতে মৃত্যু হুইবে বলিয সৎসঙ্গ পরিত্যাগ করিঘ মহাপতিকে পতিত হইব কেন ? ভদ্ৰগণ, যেখানে উদ্বেগু সাধু, সেখানে তৎপোষক যুক্তির অভাব হয় না. স্বজাতীয় অক্ষর বর্জনের সঙ্কল্প যে অতি মহান, তৎপক্ষে সংশয়ের স্থল নাই। প্রত্যেক ভাষার জন্ত পৃথকৃ বর্ণমালা থাকিলে বুদ্ধিবৃত্তি এবং ধৰ্ম্মপ্রবৃত্তির সঙ্কীর্ণত হয়, তাঙ্গ সকলেই স্বীকার করবেন। ভিন্ন ভিন্ন স্থানবাসিগণের আচার ব্যবঙ্গর ভিন্ন ভিন্ন রূপ হওয়া প্রযুক্তই যে হিংস, দ্বেষ, কলহ, যুদ্ধ বিগ্ৰহাদির প্রশ্রয় হইয়াছে, তাহ কে না বলবেন ? তুমি যবন, তোমাকে কস্তাদান করিব না, তোমার সহিত ভোজ্যান্নত করিব ন—এ কথা বলিলে যে দোষ, —তোমার ভাষা স্বতন্ত্র, অতএব তোমার ভাষাকে আমার অক্ষর টব না, অথবা আমার ভাষায় তোমার অক্ষর লইব না—ইহা বলিলে