পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

διο *ींहूठाकूब ।। স্বরূপ । ইংরেজীতে পঞ্চভূতস্বরূপ পঞ্চ স্বরবর্ণ। আগে ! কি অন লের বিষয় । পঞ্চভূতে সংসার চালাইতেছে, আমরাও চালাইব। পঞ্চ স্বরবর্ণে ই ভাষ চালাইব, তাহা তে কিছুমাত্র দ্বিধা নাই । পৰ্য্যায় অনুসারে ধরিলে, প্রথমতঃ ভাষা, তাহার পর ব্যাকরণের সষ্টি হয়। কিন্তু এখন ভাষা জানিতে হইলে, অগ্রে ব্যাকরণের দাসত্ব স্বীকার করিতে হয় । স্বজাতীয় সাহিত্যের জন্ত বিজাতীয় বর্ণমালার আশ্রয় গ্রহণ করিবে, তাহাতে আর দোষ রহিল কোথায় ? আর, যদি শাস্ত্র মানিতে ইচ্ছা থাকে, তাহা হইলে পঞ্চ স্বরাত্মক বর্ণমালাকেই যে গ্রহণ কর। অত Tiবগুক, তাহ বলাই বাহুল্য। পঞ্চভূতেই সকল পদার্থ নিৰ্ম্মিত, অথচ এক পদার্থ হইতে অন্ত পদার্থের পার্থক নির্ণয় কোনই অসুবিধ বা ক্লেশ নাই; যে পাচ ভূতে উমেশ, সেই পাঁচ ভূতেই রামদাস,—তথাচ রামদাস শুইয়া আছে, তাহাতে উমেশের বসিয়া থাকার ব্যাঘাত নাই এবং উমেশকে চিনিয়া লইতেও কষ্ট নাই । যতগুলি পৃথকৃ পৃথকৃ স্বরধ্বনির প্রয়োজন, এই পঞ্চ স্বরেই আকৃড়ি, বিন্দু, ফুটুকি ইতাদি দিয়া লইলে ততগুলি পৃথকৃ স্বরই পাওয় যাইবে, অথচ মূলে যে পঞ্চস্বয়, সেই পঞ্চস্বরই রহিয়৷ যাইবে । এ প্রকার বিচিত্র কৌশল আর কোথায় আছে ? তবে কেন দেশীয় বর্ণমালা পরিত্যাগ করিতে কুষ্ঠিত হইব ? বর্ণের দেশীয় নাম অক্ষুন্ন রাখতে ইচ্ছা থাকে, রাখিয়া দাও, কিন্তু দেশীয় মুৰ্ত্তি কখনই রাখা যাইতে পাবে না। কোট পেণ্ট লুনধারী তেঁতুলে বাগদীর সন্ত্রম রেলওয়ে ষ্টেশনে যে দেখিয়াছে, ইংরেজী বর্ণমালায় সজ্জিত দাওরায়ের পাঁচালীর গৌরব সেই বুঝিতে পরিবে। এতদ্ভিন্ন, যাহারা শাস্ত্রজ্ঞ তাহারা অবগত আছেন, যে, “কলিশেষে একবর্ণ হইৰে যবম ।” তবে কি আর বর্ণভেদ রাখা শোভা পায় ? আইস