পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বশিক্ষিত এবং অশিক্ষিঙের মুখের ভারত ২০৯ 'স্বশ্বেরই অনুভব করিতে থাকি ; হস্তপদাদির পরিচালন মন্ত্রি করিয়াও সহজে সুখের জীবন বিড়ম্বিত করি না! অপরাহ্নে আমরা যাইহন্তে ভ্রমণ করি, সে বায়ুসেবনের জন্ত ; সন্ধ্যার পর পাঁচজনে একত্র হই, সে মদমত্ত হইয়া খোশগল্প বা খেমটানাচের জন্ত । আহার বিহারের জুন্ত আমাদের ভাবিতে হয় না, আমরাও ভাবি না। পঙ্গ শুন আমাদের আর করিতে হয় না, আমরাও করি না। দেশের তুঃখ আমাদিগকে দেখিতে হয় না আমরাও দেখি না । দেশের কথায় আমাদিগকে থাকিতে হয় না, আমরাও থাকি ন। এখন আমরা কেবল খাই দাই, নিদ্রা .যাই, প্রবৃত্তি হইলে প্রকৃতির জল্পনায় কাল কাটাই । বাস্তবিক আমাদের কোন ও বালাই নাই । թ কিন্তু অশিক্ষিতের দুরবস্থা দেখ । অশিক্ষিত ব্যক্তি নিয়তই পরের অধীন । যে অশিক্ষিত ব্যক্তি নিরেট মূখ, সে পেটের দায়ে অস্থির । শুনিতে পাওয়া যায় যে, এই সকল তুর্ভাগ্য মনুষা মাটি কাটিয়া, বা অন্ত প্রকারে খাটিয়া খাটয় মাথার স্বাম পায়ে ফেলাইয়া থাকে। অহো! কি বিভীষিকা। এ সকল লোকের মরিয়া যাওয়াই উচিত । ইহারা নাকি একেবারে কাণ্ড জ্ঞানহীন, সে জন্তই বোধ হয় এ জীবনভার বন্ধন করিয়া থাকে। আর এক প্রকার অশিক্ষিত ব্যক্তি আছে, যাহারা বিদ্যালয়ের অভ্যন্তর দেশ দেখিয়া থাকিলেও, কিছুমাত্র শিক্ষালাভ করিতে সমর্থ হয় নাই। ইহাদিগকে অৰ্দ্ধ শিক্ষিত বলা যুয়! ইহারা ইংরেজী পডিয়াছে, সে নাম মাত্র,কারণ ইংরেজীতে ভুল করিয়া পত্রাদি লিখিতে পারে,ন, অথবা শুদ্ধরূপে লেখেও না। এরূপ শিক্ষা কেবল শর্করবাহী বলীবদের ভার-বহনরূপ বিড়ম্বন মাত্র। অধিকন্তু ইহার দেশীয় ভাষায় চর্চা করিয়া প্রকৃত শিক্ষালাভের ফল হইতে বঞ্চিত