পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

विषयञ्जन जक्षीणंष । ২১১ লাভ কখনই ঘটিবে না, তা বাচিয়া থাকিতেই কি, আর মক্সিয়া গেলেই কি ? যিনি কমলার রুপাসৰেও ভারতীর চিহ্নিত সেবক, ঘিনি ঘুর্ণভ মানবজন্মে দ্বিজেন্দ্র বলিয়া বরেণ্য ; ভঁাহার আতিথ্যে স্বৰ্গ সুখ লাভ করা যায়, ইহা বিচিত্র নহে। তাহার উপর, যেখানে বাল্মীকির কাব্যপ্রভা, যেখানে মূৰ্ত্তিমতী প্রতিভ, যেখানে সঙ্গীতের নিসর্গশোভা—সে যদি স্বর্ণ না হয়, তবে স্বর্গের অস্তিত্ব সম্বন্ধেই সক্ষেক করিতে হয় । পঞ্চানন্দ স্বৰ্গবাসী হইলেও এখন নরলোকে বিরাজ করিতেছেন ; সুতরাং মানবস্বর্গেও তিনি ইন্দ্র ত্ব করিতে গিয়াছিলেন। বিদ্বজ্জনসমাগমে তিনি মৰ্ত্তোর পরম সুখ লাভ করিয়াছেন। ধরাধামে কি কি উপাদানে স্বৰ্গ সংগঠিত হয়, তাহার পরিচয় পঞ্চানন্দ পাইয়াছেন ; অজ্ঞান-তিমিরান্ধের জ্ঞানাঞ্জন শলাক স্বরূপ এই লৌহলেখনী দ্বারা তদবুত্তান্ত বিবরিত হওয়া আবণ্ঠক । Ö যেখানে সমাগম,সেইখানেই সভা ; যেখানে সভা, সেইখানে সভাপতি। কালের জ্যেষ্ঠ পুত্র, বঙ্গের গণপতি এই জনসমাজে সমাগত হইয়াছিলেন, ইহা বলাই বাহুল্য। মণিমুক্ত বিভূষণে স্বয়ংসঙ্গীত স্বীয় রাজঞ্জী প্রদর্শনে, সমাগত বিদ্বজ্জনের মনোমোহন করিয়াছিলেন, ইহাও বলা নিম্প্রয়োজন। বিদ্বানের বল বিজ্ঞান; সুতরাং রসায়ন রূপ ধারণ করিয়া বিজ্ঞানের আবির্ভাব অবশুম্ভাবী । দেবভাষা, নাগরবেশে আশু উপেক্ষা প্রদর্শন করিয়া লম্বশাটপটাবরণে সভার শ্বোভা বৰ্দ্ধন করিয়ছিলেন। শীতল ভাবে মেধা স্বীয় পুরুষকার দেখাইতে ছিলেন। পাছে এত শোভাসমষ্টি সম্ভ্রশন করিয়া মানব নয়ন বলসিয়া যায়, সেইজন্ত নেত্র রোগ-ধন্বন্তরিও নিজ বিপুল কলেবর সঞ্চালনে কটি করেন নাই।