পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গোরাচাঁদ । RYS সময় খৃষ্টীয় অষ্টাদশ শত একাশীতিতম অব্দের প্রথম এপরিল দিবসে বেলা ছয়টার পর গোরাচাদের বাড়ীতে ভরপুর মজলিজ জমিয়া গেল । †. কোমলপ্রাণ পাঠক ! বীরপ্রসবিনী পাঠিকে ! প্রখম পরিচ্ছেদের প্রথম প্রকরণটা একটু কঠিন হইয়াছে বলিয়া কিছু মনে করিবেন না। যখন বিদ্যার বেগ সম্বরণ করা যায় না, তখনই লেখকের গ্রন্থারম্ভ করে, সুতরাং ভাষার জোয়ারের মুখে জঞ্জাল দেখা যাইবে, ইহাতে আশ্চৰ্য্য কি ? আমি পাঠক মহাশয়ের স্বজাতি-বৎসল্যের— পাঠিক ঠাকুরাণীর গুরুজন-ভক্তির দিব্য করিয়া বলিতেছি, ইহার পর যাহা লিখিব, অতি প্রাঞ্জল নিৰ্ম্মল ভাষাতেই লিখিব । দস্তহীন ব্যক্তির স্বাদবোধ অল্প ; সেইজন্ত গোড়াতে এক মুঠ একমুঠ চাল ভাজা ছোলা ভাজা দিয়া আপনাদের অভ্যর্থনা করিলাম । আমি দরিদ্র,— আতা, রাতাবি কোথায় পাইব ? যদি অঙ্কুরেই অপ্রীতি না জন্মিয় থাকে, তাহা লইলে আসিতে আজ্ঞা হউক, আমার এ ভূনির দোকানো যাহা কিছু আছে, সকলই দেখাইব । বাগবাজারের ঘোষপাড়ার একটা গলিতে প্রবেশ করিয়া স্বৰ্ষ্যদেব অস্বীকার মত রাত্রিবাসের জায়গা খুঁজিতেছিলেন ; একটা প্রকাণ্ড নারিকেল গাছের পশ্চিম দিকের পাতাগুলা তাই দেখিয়া হাঁসিতে ছিল। পূৰ্ব্বদিকের পাতাগুলার স্বভাব কিছু নম্র, আস্তে আস্তে অল্প অল্প মাথা নাড়িয়া স্নান মুখে তাহাদিগকে হাসিতে বারণ করিতেছিল। ইত্যাদি। এ সমস্ত কবিকল্পনা ; লেখকের বর্ণন শক্তির পরিচয় মাত্র। প্রকৃত কথা পশ্চাৎ বলা যাইতেছে। যেখানে সেই নারিকেল গাছ, তাহার উত্তরদিকে ইটের প্রাচীর, তাহার উত্তরেই গলি ; তাহার পরেই দরজা দিয়া উত্তরমুখে প্রবেশ করিলেই গোরাচাদের বাড়ী। বাড়ীর বর্ণন করিয়া আর কষ্ট্র দিৰ