পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গোরাচাদ । २२.७ একখানা ভাড়াটে গাজী ভয় দেখাইবার জন্ত বিকট শব্দ সহকারে মৃত প্রায় অশ্ব-যুগলের অনুধাবন করিতেছে ; অশ্বন্ধয়ও প্রাণের দামে একমনে এক ভাবে চলিয়াছে। অনেকে ভূত মানে না, কিন্তু ভূতকে বড় ভয় করে ;. রাত্রিকালে সন্দিগ্ধ স্থল দিয়া যাইতে হইলে ভয়ে দৌড়িতে পারে না, থামিয়া পশ্চাৎ ফিরিয়া দেখিতেও সাহস করে না। ভাড়াটে গাড়ীর ঘোড়ার অবস্থাও সেইরূপ। কোনও কোনও স্বানে বেগর গায়ে, দেওয়ালের গায়ে, রেলিঙের গায়ে ঠেস দিয়া চক্ষু মুদিয়া আন্ধারিয়া লাষ্ঠান হাতে এক এক জন পাহারাওয়াল হুইট পরমতত্ত্বের ধ্যানে নিমগ্ন রহিয়াছে ; এক, সার্জন সাহেব এ পথে না আইসে ; অপর, একটা চোর কিম্বা মাতাল গায়ে পড়িয়া ধরা দেয়। যাহারা পাখা টানে আর যাহারা পাহারা দেয়, তাহারা ইহকাল পরকাল একসঙ্গে রক্ষা করে,—ধ্যান ছাড়ে না, অথচ কাজ ভোলে না। ইহা ছাড়া, পথের ধারে কিন্তু দোতলার উপরে কোথায়ও বায়া তবলা, মানুষের গলা প্রভৃতি হইতে ওয়াকু ওয়াকু মিশ্ৰিত অনিধ্বচনীয় শব্দে নেশায় তত্ত্ব কলিকাতার বিরক্তি সম্পাদন করিতেছে। ঘুমাইয়াও কলকাতা ঘুমাইতে পাইতেছে না। ফলে আমি প্রকৃতি বর্ণন করিতে বসি নাই, পটও আঁকিব না। গোরাচাদ না কি সভাস্থল হইতে বাড়ী ফিরিয়া আসিতেছেন, তাই ঐতিহাসিক নবাখ্যানের সার্থকতা রক্ষা করিবার জন্তই ঐত বাক্য ব্যয় করিতেছি । আপনারা সেটা ভুলিবেন না। তত রাত্রিতে সভায় গিয়া গোরাটাদ দেখিলেন, সভাগৃহের দ্বার রুদ্ধ, সুতরাং প্রবেশ করিবার উপায় নাই। যে সে লোক হইলে হতশ্বাস হইয়া এই খানেই রণে ভঙ্গ দিয়া পলায়ন করত। কিন্তু গোরাঢ়ীদের অধ্যবসায় অপ্রতিছন্ত ; সঙ্কল্প অটল, সাহস ছৰ্দয়। অস" সিদ্ধ হইতে পারে, কিন্তু গোরাচাদের অভীষ্ট বিচলিত হইতে