3. o *ाँहूर्णांकूव्र । তুমি গড়িয়াছ গির্জা, নাম রাখিয়াছ মন্দির, দাড়াও পুলপিটে, ৰলিয়া থাকো সেটা বেদি ; যীশুখ্ৰীষ্ট্রের নাম গাইয়া তুমি পাদরি ভুলাইয়াছ ; হরিনাম সঙ্কীৰ্ত্তনে তুমি পথের পথিক ভুলইয়াছ ; খোল করতাল, ডোর কেীপীনে তুমি গোড় গোস্বামীর চক্ষে ধূলি দিয়াছ ; আবার শঙ্খ ঘণ্ট হুলুধ্বনি দিয়া নববিধানের ধ্বজদণ্ডের বরণ করাইয়া তুমি হিন্মু-কুলবধুর মন মোহিত করিয়াছ। বাবাজী। বলে দেখি; ইহার মধ্যে তুমি কার, আর তোমারই বা কে ? তোমার চক্ষে সোণার চশমা, চুলে বাকী টেডী, পরণে গেরুয়া ; পদ্মকুটার-অট্টালিকায় বাস করিয়া তুমি সন্ন্যাসী ; স্ত্রী-পরিবারে বেষ্টিত থাকিয়া তুমি বৈরাগী ; কস্তার জন্ত সৎপাত্রে ভাবনা ভাবিয়া তুমি যোগসাধনে নিমগ্ন ; রেলের গাড়ীর গদীমোড়া কামরায় ভ্রমণ করিয়া তুমি দারিদ্র্য ব্রতাবলম্বী ;—বাবাজী, সত্য বলিতেছি, তোমাকে চিনিতে পারিলাম না, সেই জন্ত সরলভাবে জিজ্ঞাসা করিতেছি, “তুমি কার, কে তোমার ?” * সামাজিক নিয়মসমূহে যে সকল দোষ আছে, তাহার সংশোধন জন্ত তুমি বিশেষ ব্যগ্র। জাতিভেদ, সম্প্রদায় ভেদ, অতিশয় অনিষ্টজনক জানিয়া সমস্ত একাকার করিবার জন্ত তোমার বিশেষ যত্ব। জিজ্ঞাসা করিতেছি, সেই জন্তই কি পরের মেয়ে আইবুড় রাখিবার আইন করাইয়া সকাল সকাল আপনার মেয়েকে রাজরাণী করিয়া দিলে? সেই জন্তই কি হিন্দুর ছত্ৰিশ জাতির উপর নিজের একটা দল ? আর ঝগড়া করিয়া আরও একটা ভাঙ্গদল বাড়াইয়া বোঝার উপর শাকের আটি করিয়া দিলে ৯ বলে দেখি বাবাজী, তুমি বাস্তবিক কোন দলের, আর তোমার আসল মত খানাই বা কি ?, তুমি পৌত্তলিক, এমন কথা কেহ বলিতে পারে না; অথচ তোমার মন্ত্র তন্ত্ৰ আছে, তাহাতে ৰাবা ভগবান, মা ভগবান পৃথক
