পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भाँष । ২৩৩ 'কলিকাতার শিরে পটা আমার আঙ্গুলীলার স্বল! খেতাজধাম সুদূর সিন্ধুপার তামসতীরে আমার মধ্যলীলা হয়। আর শেষ লীলা এইক্ষণ শিবদহ সন্নিকট—ললিত গৃহে। আমার প্রথম লীলার পরিষদ দ্বারকানাথ-সুত দেবেন্দ্র দেব। দ্বিতীয় লীলার পারিষদ অনেক । দেশী এবং বিদেশী—ভন্মধ্যে সাঙ্কেব জনসারই অতি প্রধান ছিলেন । আর এই শেষ লীলায় ত্ৰৈলোক্য শুদ্ধ অনেক বয়স্য এবং শিষ । পূর্বে আমি বক্ত হুইট্র বায়ু দ্বারা জীবের ধৰ্ম্ময়ের মঙ্গল সাধিতাম। এক্ষণে বায়ু ছাডিয। অন্ততর ভূত, জলের মাশ্রয় লইয়। তদ্বারাই শাস্তির কার্য্য সাধন করিতেছি, মস্তকই কুলকুণ্ডলিনীর বাসস্থল, তাই লোকের মস্তকে জনসেচনা আরম্ভ করিয়াছি ; আর যেমন চিকিৎসকেরা এলোপোথি ছাড়িয়া হুমোপেথী এবং হাইড্রোপেথী ধরিয়াছে, আমি ও তেমনি আত্মার রোগ সম্বন্ধে জলসেক জলপড় অবলম্বন করিয়াছি। জাহাজে ইংরেজ এসে গঙ্গাজলকে অপবিত্র করায়, আমি আমার পবিত্র কুটরের পুষ্করিণীর জলের আশ্ৰয লইয়াছি। দেখা যাগ, এই ধৰ্ম্ম হাইড্রোপেথিতে কত দূর কার্য্য হয় । அ মান । “প্রাণ অতি তুচ্ছ গণি, প্রাণাধিক মান।" হে রাম! এমন কুশিক্ষাও কি আর আছে! এমন ভ্রমপূর্ণ কথাও লোকে উপদেশ স্বলে বলে! কোথায় অমূল্য, অতুল্য, পরম যত্বের, পরম সমাদরের প্রাণ—আর কোথায় ছেড়া স্তাকড়া মান ! ছি ছি! প্রাণের কাছে, ধনের কাছে, মানের কথা কি তুলিতে আছে ?