পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

સ્વ88 পাচুঠাকুর। আজ যে বক্ষ বাহার দেখচি ! শরীয়টে বাধা দিয়েছি, প্রাণটা কেড়ে নিয়েচ, এখন কি নেবে ?” ভৈরব ঈষৎ লজ্জিত হইয়া, মৃদ্ধ হাস্তে ভুবন ভুলাইয়া ধীরে ধীরে ৰলিলেন—“প্রাণনাখিনি! আমার বাছার ত তোমারই নিমিত্তে । আমার যতদিন তুমি ভালবাসিবে, যতদিন তোমার অনুগ্রহ থাকিবে, ভতনিই আমার বাহার। এখন সাহস আছে, ভালবাস তাই এ ৰাহারও আছে ; বারণ কর, আর বাহারও করিব না।” এই কথাi বলিতে বলিতে ভৈরবের চক্ষু যেন ছলছল করিয়া আসিল। কামিনী-সুন্দরী তখনও আহারে প্রবৃত্ত হন নাই। তাড়াতাডি ভৈরবের মুখচুম্বন করিয়া বললেন,—“ছি ছি ভয় । আমি কি তোমার মনে কষ্ট দিতে ও কথা বল্লুম! রোজ রোজ, এমন সাজগোজ দেখি না, সেই জম্ভেই রহস্য করে একটা কথা বলুম । তুমি আমার উপর রাগ করলে ?” পত্নীর সোহাগে কোন সাধু পতির ন ন গলিয়া যায় ? ভৈরব পরিষ্কাসের স্থর অবলম্বন করিয়া বলিলেন—“তোমার মন বুঝিবার জম্ভ অষন করিলাম, তাহাও বুঝিলে না! আজ ওবাষ্ঠীর দান। একবার দেখা করতে চেয়েছেন, তাই মনে করেচি যে তুমি যদি ৰল, স্তৰে একবার তার সঙ্গে দেখাটা করে আসি” । কামিনী সুন্দরী বসুর ইচ্ছা নয় যে এমন সময়ে ভৈরব কোথাও যান। তিনি ভৈরবকে ভালবাসিতেন বটে, কিন্তু সে ভালবাসায় ঈৰ্য্যা ছিল না এমন কথা আসর বলিতে প্রভত নহি । ভৈরৰের কথার উত্তর না দিয়া কামিনী সুন্দরী বসু বলিলেন— “তোমাদের বৌয়ের স্বভাবটা বড় খারাপ হেয়ে যাচ্ছে । সে দিন যন্দাকিনীয় বার্তী নিমন্ত্রণে গিয়ে কি চলচিালটে না করলে ? স্বাবার শুনচি ষে যেচোবাজারে জীবনরুফের ৰাষ্ট্রীও যাতায়াড়