পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেই জন্ত আদরের সহিত র্তাহার এই নূতন প্রণালীর নূতন প্রৰণ্ড পঞ্চানন্দ গ্রহণ করিলেন। এ প্রকার প্রবন্ধের নাম ঔপন্তা সিক ইতিহাস। ধাহাদের অরুচিকর হইবে, তাহারা ডাক্তার না ভাকিয়া ইহা পাঠ করিতে প্রবৃত্ত না হন—পঞ্চানন্দ । ] প্রথম পরিচ্ছেদ । লক্ষ্মীর পরিচয় । লক্ষ্মী বৈষ্ণবী অনেক কালের মানুষ, তবু কিন্তু সকলের চক্ষে এখনও বুড়ী হইল না। লক্ষ্মীর বয়সী একটা প্রাণীও দেপাড়ায় নাই, তবু কিন্তু লক্ষ্মী দেখিতে শুনিতে এখন ও এমন যে, কোনও কোনও ষোড়শীকে ফেলিয়া লক্ষ্মীর দিকে আপনার আপনি নজর যায়। এ লক্ষ্মীর পরিচয় জানিতে কাহার না ইচ্ছা হয় ? লক্ষ্মী নিজে কাহাকেও জামু-পরিচয় বলে ন’ ( ১ ) ; দেমাক টুকু আছে বলিয়াই মাগি এখন ও হেলিয়া তুলিয়া চলিয। যায় । অন্ত কেহ হইলে, কি এমন দেমাক ন থাকিলে, এ বয়সে শ্মশানে তাহার অস্থি খজিতে হইত। লক্ষ্মীর পরিচয় ইহার উহার মুখে শুনা। কথাটা নাকি বড়ই কৌতুইলের, তাই অনেক যত্নে সংগ্রহ করা হইয়াছে। লক্ষ্মী ভগবান বিশ্বাসের মেয়ে । বিশ্বাস বহুতর জাতি হইভে পারে, সুতরাং নানা লোকে নান জাতি বলিয়া পরিচয় দেয়; কেহ বলে ভগবান আছে, কেহ বলে নাই। তাগর বাড়ী কোথায়, কেইনিশ্চিত করিয়া বলিতে পারে না । ভগবানের অনেকগুলি মেয়ে, সবগুলি প্রায়ু আমাদের লক্ষ্মীর মত ; তবে য়ু চরিজনু স্বামীর ঘর করিয়াছে, এরূপ শুনিতে পাই। (১) ভারতবর্ষে “ইতিহাস মাই।