পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় কাণ্ড । રન્ટ আসিয়াছি ; বাগীও বলেন না যে কেহ বোঝে না, তবু আমি । বকিতেছি! ভাই আসল কথা কি জানো, পঞ্চানন্দ না কি বাঙ্গালা, তাই অনেকে বুঝিতে পারে না। আর তা ছাড়া, যে ব্যথা বোঝে ন, সে কি কথা বুঝিতে পারে ? এমন কতকগুলি লোক আছে, যাঙ্গর পঞ্চানন্দে রস দেখিতে পায় না । ইহাদিগকে প্রথমত এই বলা যাইতে পারে যে, এই .rাদণ্ড প্রতাপ প্রচণ্ড মার্ক"-তাপে পুকুরের জল শুথাইয় যায়, হৃদয়ের রক্ত শুখাই যায়, জিহ্বা ধূলি উড়ে, এমন অবস্থী পঞ্চানন কেমন করিঘ। রসে টলমল করবে ? তাহার পর যে রস হাছে, তাই মজ্জগত । যাঙ্গর রসের ব্যবসা করে, তাহারা মহারুক্ষ থে জুর গাছের গলা কাটয় রস বাহির করে । রস চেন চাই, রসগ্রাঙ্ক'হইতে জানা চাই । একটা ক্রটির কথায় পঞ্চানন্দ কবুল জবাব দিতে প্রস্তুত । ইচ্ছা না থাকিলেও, কামনা ন করিয়ীও কালে ভদ্রে ভদ্রলোকের মনে পঞ্চমন্দ আঘাত করিয়া ফেলেন । কিন্তু সেটা অনিবাৰ্য্য। এই ত বড় লাটের ছেলে এ দেশে শিকার করিতে আসিয়া দুইটা মানুষকে গুলি করিয়া ফেলিলেন , কিন্তু তাই বলিয়া কি রাগ করা উচিত ? এ সব যে দুর্ঘটন, ইহার জন্য দুঃখ করিতে হয়, করে, কিন্তু রাগ করিও না। বাস্তবিক অনেক সময়ে, অনেক স্থলে মানুষ কি পশু ঠাওরান যায় না ; আর শেষে যদি ঠাওর হয়, তথম নিরুপায়, আর | সারিবার আয় থাকে না । { } 哺 অতএব, আইস ভাই সকলে মিলিয়া— ১। মুদ্রণবিধি উঠাইবার জন্ত প্রার্থনা করি। ২। নিরবচ্ছিন্ন ইংরেজি ভাষার চর্চা করি। ৩। কাজকৰ্ম্ম ছাড়িয়া বস্তৃত যুঁড়ি দিই। "