পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিলাতের । ←ᎼᏄ মেষকে হৃষ্ট পুষ্ট করি—তাহার পর উচিত ব্যবস্থা করি। ভারতবর্ষের উন্নতি না করিলে আমাদেরই ক্ষতি, আমাদেরই অসুখ, ইহা কি তোমরা বাস্তবিক বুঝিতে পারে না?” এই ব্যাখ্যা শুনিয়া আযার দিব্যজ্ঞান জন্মিয়াছে। নোটবদের সঙ্গে ভালোবাসা ত হইয়াছেই, অধিকন্তু তাহদের উপর আমার অচলা ভক্তি হইয়াছে। যথাৰ্থ বলিতেছি, এমন ক্ষতি-লাভজ্ঞ, সুবিজ্ঞ পরিণামদশী মনুষ, সংসারে আর কোথা ও অাছে বলিয়। আমার আর প্রতায় হয় না। ভারত-রাজ্য চালাইবার জন্ত নেটিবের যে বন্দোবস্ত করিয়াছে, দেশে থাকিয় সেটা ভালে বুঝিতে পারিতাম না, আর দেশের অধিকা শ লোকেই বুঝিতে পারে না। কাজেই এত অসন্তোষ, আন্দোলন এবং গণ্ডগোল সৰ্ব্বদা দেখিতে পাওয়া যায। এখানে আসিয়ু উত্তমরূপে ইঃার গূঢ় মন্ম বিধাছি, এবং বুঝির প্রেমরসে অভিষিক্ত হক্টর আমি এখন কি বলিব, কিছুই স্থির কবিতে পারিতেছি না। তাই অনুরোধ করিতেছি যে, কৌম ও কথায় ছিট দেখিতে পান, কিছু মনে করিবেন না । ঠাকুর ম: বলিতেন, এক দেশে এক মালিনী ছিল, সে রাজ পুত্ৰগণকে গাড়ল কার্য। রাথিয় দিত। এখন তামার মনে হইতেছে যে, এই সেই মালিনীর দেশ, নহিলে যে একবার এখানে আসে, সেই গাড়ল হইবা যায কেন ? Q যাউক । বন্দোবস্তেব কথা বলতেছিলাম। হিন্দুর ভারত না কি খুব পুরাতন, খুব ভক্তির সামগ্ৰী, লই জানিয়া ভারতবাসীকে তুষ্ট রাখিবার অভিপ্রাযে ভারত-লক্ষ্য কাৰ্য্যতন্ত্রে মেটিবগণ ভারতের প্রাচীন আচরণ বিচরণুে জোর জবরদস্তি করিয়া কোন গোলযোগ করিয়া দেন নাই। ভারতবাসী জানে যে সসাগর পৃথ্বীর রাজা না হইলে রাজাই নয়, তাই ইঙ্গদেবী সাগরের বুকের উপর সিংহাসন পাতিয়া ভারতের ভূ-সম্পত্তির উপর অধিকার চালন করেন। ব্রাহ্মণ,