পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমালোচনা | రిల సె ক্লি পৃষ্ঠস্রাব, পঞ্চানন্দের কিছুতেই কাহারও কথাটি কহিবার যেটি নাই। পঞ্চানন্দ সত্য সত্যই রস-প্রধান। পঞ্চানন্দ অসাময়িক পত্র। ইহা অতি সুব্যবস্থার পরিচায়ক । যাহা সাময়িক অর্থাৎ Periodical তাহা কুইনানের আয়ত্ত ; জর সাময়িক, সেইজন্ত জর কুইনাইনের আয়ত্ত। সাময়িক পদার্থ মাত্রই হয় অনিষ্টকর, যেমন জরাদি, নচেৎ নূতনহহীন, যেমন চন্দ্র স্থৰ্য্যাদি । সাময়িকের আর এক দোষ আছে, অসময়ে কোন উপকার করে না। যখন লেখকের অভাবে ছাপকের অভাবে, পাঠকের অভাবে, দামদায়কের অভাবে তোমার সাময়িক পত্র হৃদয়ের অস্তস্তলে লুকাইয়া অঙ্গবসজ্জন করিতেছে, লোক সমক্ষে বাহির হইতেছে না, তখন সাময়িক পত্র তোমার কি উপকার করিতে পারে ? উপকার দূরে আস্তাং, তোমার প্রতিজ্ঞ। ভঙ্গ, তোমার লীলাসঙ্গ, তোমার নাস্তনাবুদ করিয়া সাময়িক সৰ্ব্বনাশ করিয়া থাকে। অতএব সামযিককে বিশ্বাস করি ও না। কিন্তু পুবেই বলিয়াছি, পঞ্চানন্দ অসাময়িক, যখন সংসার আর শ্মশানে এক ভবি, যখন সমাজসমালোচনে আর গোচরণের মাঠে সেই এক অক্ষয়, অব্যয় মুক্তি সাধারণী কৃত বলিয়া উপলব্ধ হয়, ফল কথা, যখন তোমার নিত্যস্ত অসময়, তখনই পঞ্চানন্দ । অসময়ের বন্ধুই বুন্ধ, কে বলিবে, কোন পামর ইচ্ছা করিবে যে পঞ্চানন্দ সাময়িক হউক ? যে করে, তাহার কােণ্ডজ্ঞান নাই। তা ছাড় সাময়িক, পত্রই ত সব গুলা ; অসাময়িকেরই নিতান্ত অভাব। পঞ্চানন্দ সে অভাবু পূরণ করিয়া ছেন । o আরও একু কথা বলা আবগুক। পঞ্চানন্দ শাস্ত্রার্থদশী, সেই জষ্ঠ অসাময়িক,শাস্ত্রকারের কলির এই কয়েকটি গুণ লিপিবদ্ধ করিয়াছেন , কলিকত-(ক) অন্নগত প্রাণ, (খ) জঠরাগ্নি উগ্র, (গ)