পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চানন্দের বক্তৃত । ২১ এ প্রশ্ন কেন ?—বক্ততা করিতেই হইবে, সেই জন্য। স্বর্ধ্যেয় অৰেদেশে সকলই পুরাতন, কিছুই নূতন নাই। ইহা পুরাতন প্রবাদ, যেহেতু কিছুই নূতন নাই। তথাপি সেই পুরাতনকে তাণ্ড-চুর করিয়া আবার গড়িয়া পিটিয়া, মাজিয়া ঘষিয়া, মৃতনের মূৰ্ত্তি দিবার জন্ত সমগ্র সংসার মাথার ঘাম পায়ে ফেলিতেছে। সকলেই যাহা, দেখিতেছে, সকলেই যাহা শুনিতেছে, সকলেই যাহা জানিতেছে, তাহাই দেখাইবার জষ্ঠ, তাহাই শুনাইবার জন্য, তাছাই জানাইবার জন্ত বক্তৃতা করিতে হয়। অতএব--ভারতের জষ্ঠ ইংলণ্ড কি, করিয়াছেন ? –এ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিতে হয় ; আপনা-আপনি জিজ্ঞাসা করিয়া উত্তর স্বরূপ একটা বক্তৃতাও করিতে হয়। বক্তৃতাই সমাজের জীবনী-শক্তি । বক্তৃতা যে অবগুকৰ্ত্তব্য, তাহ প্রতিপন্ন করা গেল। কিন্তু কৰ্ত্তব্যের অনুরোধে কয়জন লোক কাজ করিতে প্রভত হয় ? আমি দেখাইব যে, বক্তৃতা যেমন কর্তব্য কৰ্ম্ম, তেমনি লাভজনকও বটে। মনের কথা যে খুলিয়া বলে, সে যে পাগল ইঙ্গ সৰ্ব্ববাদি-সম্বত। পক্ষণস্তরে মনের ভাব গোপন করিবার জন্ত ভাষার স্বষ্টি, ইহাও পণ্ডিতের কথা। অতএব বুঝিয়া কথা কহিতে পারিলে অর্থাৎ যেখানে উৎপীড়ন নাই, সেখানে সত্য কথাটা না বলিয়া অস্ত কিছু বলিলেই দুই দিক্ রক্ষণ করা হয়,—সাপ মরে, অথচ লাঠিখানি ভায়ে ন!— নাম হয়, অথচ মিথ্যাবাদী বলিয়া বদনাম হয় না। 'কে বলিৰে বক্তৃত লাভজনক নয়? যে বাঙ্গালী, ইংরেজীভাষায় বক্তৃত করে, অথচ “দেশের হিতের জষ্ঠ আমার জীবন ধারণ,” কথায় বা ব্যবহারে এই ভাব প্রকাশ করে, সে-ই প্রকৃত সারগ্রাহী ব্যক্তি –তুৰ্লভ মানব জন্মে, তাহর স্কায় মানব ততোধিক সুতুৰ্লভ। যাহাকে বলিতেছি, সে আমার মনের তাব জানিতে পারিল না; যাহার হইয়া