পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨.8 পাচুঠাকুর ছিল, তদভিন্ন, সে ত্রেতাযুগের লোক, তখন অধাৰ্শ্বিকের সংখ্যা এত অধিক ছিল না—অন্ধকারের সহিত বলিতেছি—যাহার সাধ্য থাকে আমার দস্তান তুলুক—আমার হনুমানের তুলনায় তোমাদের হজুমান মাহী হইতে ক্ষুদ্র, মশা হইতে হৰ্বল, তেলেপোকা হইতে নিৰ্ব্বোধ, কেন্ন হইতে ঘৃণ্য। যদি লজ্জা থাকে, ও তুলনা আর ভুলিও না। আবার দেখো, ক্লাইব অসমসাহসী, রণপণ্ডিত, অমিততেজা, খ্ৰীষ্টধর্শ্বে-নাকানিচুবানি ইংলণ্ডের সস্তান। শুদ্ধ তোমাদের উপকার, ভারতের হিত, ৰঙ্গের উন্নতির জন্ত ইহকালকে ভ্ৰকুটী করিয়া, পয়কালের পতি অকৃষ্ঠ প্রদর্শন করিয়া আত্মাকে শয়তানের জিম্বায় রাখিয়া, জাল, মিথ্যা কথা, প্রবঞ্চনা—কি না করিলেন, মানুষ হইয়া মানুষের জন্ত কয়জন এতদূর আহ্মবিসর্জন দেখাইতে পারে ? ইংলণ্ড জানেন যে, জালসাজী বড় পাপের কৰ্ম্ম, ইংলণ্ড জানেন যে, পাপীর দণ্ড ৰিধান না করিলে পাপের প্রশ্রয় দেওয়া হয়; ইংলণ্ড জানেন যে, ভারতের উপকার করিতে হইলে ভারতের ভ্রাস্ত সস্তানকে সৎপথ দেখাইতে হইবে। জানেন বলিয়া ভারতবর্ষকে সুদৃষ্টান্ত দেখাইয়া গ্লানি স্বীকার করিতে, হইলেও নন্দকুমারকে ইংলণ্ড ফাসি দিতে ইতস্ততঃ করিলেন না; হুবুন্ত নন্দকুমারের দুৰ্গতিতে পাপীর হৃদয় কম্পিত হইল, ধৰ্ম্মান্ধ ভারতবর্ষ ইংলণ্ডের কৃপায় শিখিয়া লইল । এত ত্যাগ স্বীকার, এত ধৰ্ম্মোপদেশ দিতে আগ্রহ যাহার আছে, কোন লজ্জাম জিজ্ঞাসা করিয়া থাকে, যে, এ হেন ইংলণ্ড ভারতের জন্ত কি করিয়াছেন ? তুমি বলিতে পারে,—এ সকল গৌরবের কথা বটে, তাহ স্বীকার করি, কিন্তু বড় প্রাচীন কথা ; এ কথার বলে সম্প্রতি সুখ্যাতির দাবী' করা চলে না, দাবিতে তামাদী দোষ ঘটিয়াছে।—মধুর! আর পুরাতন কথা বলিব না, হালের অবস্থা, হালের ব্যবস্থা, দেখাইয়াই