পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চানন্দের বক্তৃত । ૨૮: তোমার চক্ষে জলধারা প্রবাহিত করিতে পারি কি না, তাহ দেখে! ভক্তি তোমার অস্তরে আছে, তাহা জানি; আমি বক্তৃতা করিলে, সত্যের আবৃত্তি করিলে, তোমার প্রেমাঙ্গ পড়িবেই পড়িবে।— “বাহিরায় নদী যবে পৰ্ব্বত উদ্দেশে, কার সাধ্য রোধে তার গতি ?”— ভারতবর্ষ পূৰ্ব্ব পূৰ্ব্বকালে নিতান্ত অসভ্য ছিল, এ কথায় যে বিশ্বাস করে না, সে ইংরাজী ইতিহাস পড়ে নাই। ইংলণ্ড তাছাকে সভ্য করিয়াছেন, ইহাও নিঃসংশয় । এমন স্বতঃসিদ্ধ কথার সবিস্তার উল্লেখ অনাবশুক হইলেও আমাকে উল্লেখ করিতে হইবে । তাহা হইলেই বুঝিতে পারবে, ইংলণ্ড কি করিয়াছেন। এই যে জ্যৈষ্ঠ মাসের আম-কঁঠাল-পাকানে গরমে তোমরা কাহাকেও আপাদমস্তক বস্ত্রাবৃত না দেখিলে অসভ্য বলিয়া থাকে, সে কাহার প্রসাদাৎ ? এই যে কোচ, কেদার, কাচের বাসন, আণী ফেরেমের অভাব হইলে তোমার স্বরের শোভ হয় না বলিয়া দুঃখ করিয়া থাকে, এ শিক্ষা কাহার নিকট পাইয়াছ ? এই যে তোমার ভাষা তোমার দেশের চাষায় বুঝিতে পারে না, তুমি যে গুণে দেশের সাড়েপোনের আন লোকের সঙ্গে আলাপ করিতে পারে না, ডাহদর সংসর্গ ঘৃণাজনক মনে করে, এ গুণ কোথায় পাইলে ? এই যে, পিতৃপুরুষের ধৰ্ম্ম কি তাহা না জানিয়াও তুমি বিসর্জন করিতে পারিয়াছ, মুষ্টিভিক্ষা উঠাইয়া দিয়া পশুশালায় চাদ দিতে অভ্যাস করিয়াছ, এই যে কোলাকুলি তুলিয়া দিয়া হাত ধরারি করিয়া সম্ভাষণের পরাকাটা দেখাইতে শিথিয়াছ-এ বিষ্ঠা ক্ষে তোমাকে দান করিয়াছে ? একটু ভাবিয়া দেখে, বুঝিতে পারিষে, ইংলণ্ড তোমাদের জন্ত কি করিয়াছেন ?