পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२by *ीहूर्णाटूब्र । হুগলীর জজ গ্রান্ট সাহেব মুসলমান পেয়াদাকে দিয়া সাক্ষীর শ্রেণীতে দণ্ডায়মান ব্রাহ্মণকস্তার ঘোমটা জোর করিয়া খোলাইয়া দিয়া অত্যাচার করিয়াছেন ; মাম্রাজে মালটী সাহেব একজন মুনসেফকে গুলি করিয়া ক্ষেণা সাজিয়াছেন—এ সব কথা তোমরা কেন বলে ? অমুক আইনে অনিষ্ট হইবে,—অমুক টেক্স বসিলে উৎপীড়ন হইবে,—এ উৎপাতে তোমাদের কাজ কি ? রাজার ঘরে টাকা গেল, তাহার পর লুণের কড়ি তেলে খরচ হইল, কি হিন্দুস্থানীকে বাঁচাইবার টাকা দিয়া আফগানস্থানীর মুণ্ডপাত করা হইল—তাহাতে তোমাদের বলিবার অধিকার কি ? ইংলণ্ড যদি চাও, তবে কটা কুকুরে কামড়াইলেও তোমরা কাদিতে পাইবে না—ইহা রাজনীতির ভক্তি অধ্যায়ের প্রথম পাঠ, অবোধ শিশু তোমরা এ কথা কবে শিখিবে ? সুখের বিষয় এই যে, শিক্ষাদানে ইংলণ্ড এত অকাতর যে, রাজভক্তি শিখাইবার ব্যবস্থাও করিতে কাট করেন নাই ; সে ব্যবস্থার নাম মুদ্রণশাসনী ব্যবস্থা ওরফে ন-আইন। পঞ্চানন্দ শপথ করিতেছেন, তিনি রাজভক্তির মধুখ অর্থাৎ মোম; মধু নাই সে কপালের দোষ। քն খাও পরে টেক্স দাও গৌর-প্রেমে মত্ত হও রাজনীতি, রাজনতি গৌররূপে কর মতি গেীর করিবেন গতি, চরণে শরণ নাও। পঞ্চানন্দ এই মন্ত্রের উপাসক।