পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রান্ট-ঘোমটা সংবাদ পূজ্যপাদ ঐযুক্ত পঞ্চানন্দ 疊 ঠাকুরেষু— বিবিধ বিনয়পূৰ্ব্বক নিবেদন,— হুগলীর জজ গ্রান্ট সাহেবের কাছে দাওয়ার একটি মোকদ্দমা হইবার সময়ে এক ব্রাহ্মণকন্যা সাক্ষ্য দিতেছিলেন। যে কোন কারণেই হউক, সাহেব নাকি তাহার ঘোমটা (সাহেবের নয়, সেই ব্রাহ্মণকস্তার) খুলিয়া দিবার জন্ত আদেশ করেন, এবং একজন মুসলমাম প্যাদা সেই আদেশ যথাযথ প্রতিপালন করে। সাধারণীর চরিত্র আপনার অবিদিত নাই; সাধারণী নাকি এই কথা লইয়। পাড়ায় পাড়ায়, দেশে দেশে রটন। করিয়৷ বেড়ায়, তাগতে সাধারণীর সঙ্গে যাহাদের আলাপ আছে, এমন আর দশজনেও এই কথা লইয়। ঘেট করিতে থাকে। এখন নাকি শুনিতেছি যে, কথা আমাদের ছোট লাটের কর্ণকুহরে উঠিয়াছে, আর তিনি ইহাকে অত্যাচারের কথা মনে করিয়া তদন্ত করিবার ব্যবস্থা করিতেছেন। তদন্তু যদি সত্য সত্যই হয়, তাহা হইলে বড় দুঃখের বিষয়। গ্রান্ট সাহেবের অনেক শক, আমি বিশেষ জানি, অনেক বাঙ্গালী, গ্রন্ট সাহেবের চাকরীটি পাইবার স্তুরাশায় সময়ে সময়ে তাহার অনেক জুনাম রটনা করে, এক অনিষ্ট-চেষ্টা করে। সেবার সেই বাঁকুড়ায় এমনি এক সাক্ষীকে চড়-মারা না কি একটা কথা তুলিয়। অমন অমায়িক স্বভাবের সাহেবটাকে নাস্তানাবুদ করিয়াছিল। যাহাই হটক যদি তদন্ত হয়, সাহেবকে একটা কৈফিয়ৎ দিতেই হইবে। •জামি