পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৈফিয়ৎ । \9》 মোক্তারদের আইন হইয়া আমার অন্ন মারা যাইবার আশঙ্কা হইস্বাছে; সুতরাং এ সময়ে গ্রান্ট সাহেবের একটু উপকার করিতে পারিলে, হয় ত আমারও উপকার হইতে পারে। এই জন্ত তাহার কৈফিয়তের একটা মুসাবিদ আমি পাঠাই ; অনুগ্রহপূর্বক সংশোখন করিয়া সাহেবের কাছে আপনি পাঠাই দিবেন। কৈষ্কিৰ। লিথিতং শ্ৰীগ্রান্ট সuহন, সাহেব জজ, জেলা হুগলী কস্য কৈফিয়ৎপত্রমিদং কার্যাঞ্চাগে হুজুর আলীর পরোয়ানা অত্র আদালতে আগত হইলে অধীন সেরেস্তাদার ও সেশিয়ান মোহররকে এ বিষয়ে রিপোর্ট দিবার আদেশ করিবাতে তাহার যে মৰ্ম্মে রোয়দাদ দাখিল করিয়াছে, তাহার একখণ্ড নকল পৃথক্ রোবকারী সহকারী সহ পাঠান এবং এ পক্ষ স্বয়ং তৎকালে বিচার কার্য্যে নিযুক্ত থাকায়, বিশেষ হলে অবগত না থাকা গতিকে তন্মৰ্ম্ম মতে যাহা জানিতে পারিয়াছে, তাহতে এ পক্ষের দোষ প্রকাশ পায় না। 鱷 o, আমার হাল এই যে, বিচার কাৰ্য্যে পক্ষপাত করিতে আইন ও ছকুলর মতে নিষেধ থাকায় সকলের প্রতি সমান ব্যবহার করিতে হয়। বাঙ্গালী পুরুষগণ মুখে ঘোমটা দেয় না এবং স্ত্রীলোকগণ ঘোমট দেয়, ইহা সত্য হইলেও হইতে পারে ; কিন্তু আদালতে তাহ" গ্রাহ যোগ্য নহে। সেই নিমিত্ত স্ত্রীলোকের ঘোমটার খাতির করা যাইতে পারেন এবং বিচার কাৰ্য্যের সময় সইজে ঘোমটাল খোলায়, তাহাতে আদালতের অবজ্ঞা বলা যাইতে পারে; এ পক্ষের উকীলগণের দ্বারাও ইহা সাব্যস্ত হইবেক ; অধিকন্তু সাক্ষীদের মুখভঙ্গী দেখিয়া বিচার করিবার কথা আইনে স্পষ্ট প্রকাশ, তাহাতে মুখ দেখা আবণ্ডক হইলে একি প্রকারে ঘোমটা থাকিতে পারে ?